রোহিঙ্গাদের সাক্ষ্য নিতে কক্সবাজারে মায়ানমারের প্রতিনিধি দল
কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাক্ষ্য নিতে মিয়ানমার থেকে সেদেশের সরকার গঠিত ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি (আইসিআই) নামে একটি দল কক্সবাজারে এসেছে।
দলটি মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে প্রায় ২০০জন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলবেন।
মিয়ানমার সরকার কর্তৃক গঠিত দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত কেনজো ওশিমা। সদস্য হিসেবে রয়েছেন প্রফেসর অং টুন থেট, প্রফেসর ইউশিহিরো নাকানিশি, লিনা ঘোষ এবং খিন মিউ মিয়াট সো।
এ দলটি অগ্রগামী দল হিসাবে কক্সবাজারে এলেন। এরা ফিরে গেলে আসবেন ‘এভিডেন্স কালেকশন এবং ভেরিফিকেশন’ নামের আরও একটি প্রতিনিধিদল। এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম।
সোমবার (১৯ আগস্ট) কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি’ প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়।
বৈঠক সম্পর্কে মো. আবুল কালাম বলেন, যেসব রোহিঙ্গারা স্বাক্ষ্য দেবে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তাই রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আশ্বাস না পেলে স্বাক্ষ্য পাওয়া কষ্টকর হবে আইসিআই টিমের।’
তবেও স্বাক্ষ্যদেয়ে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিনিধিদলটি কাজ করবে বলে আশ্বস্ত করেছে তারা।
বৈঠকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও আরআরআরসি অফিসের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
আরআরআরসির সাথে বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলটি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার বিমান বন্দর হয়ে প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজারে পৌঁছেন। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তাদের।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি তদন্তের জন্য ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অফ ইনকোয়ারি (আইসিআই)’ গঠন করেছে মিয়ানমার সরকার। ওই কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল চার দিনের সফরে গত ১৭ আগস্ট (শনিবার) বাংলাদেশে আসে।
দলটি এমন একটি সময়ে বাংলাদেশে এলো, যখন ২২ আগস্ট রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটি তাদের মাতৃভূমি রাখাইনে প্রত্যাবাসিত হতে পারে। এছাড়াও আগামী মাসে ‘এভিডেন্স কালেকশন এবং ভেরিফিকেশন’ নামের আরও একটি টিম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে কাজ করবে।