সংসদ দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছে: সমপানী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদ দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছে। কেননা এটি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার তাঁর সমাপনী ভাষণে তিনি বলেন, “এই জাতীয় সংসদ ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সংসদ সবসময়ই জনগণের কথা বলে এবং আমরা তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।”
সংসদনেতা বলেন, “জনগণ ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছেন। এই সংসদে দাঁড়িয়ে আমরা সবসময় জনগণের কথা বলি। আর সেজন্যই আমরা তাদের সেবা করার জন্য বারবার নির্বাচিত হয়েছি।”
বিরোধী দল দশম জাতীয় সংসদে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে এবং একাদশ জাতীয় সংসদেও তারা একই ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংসদে চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে এ মত দিয়ে তিনি এজন্য সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যার যে কাজ সে যেন তা করতে পারে আমরা সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। দুর্নীতিমুক্ত জনবল নিয়োগ করায় পুলিশ বাহিনী আজ সাধুবাদ পাচ্ছে। এটা অতীতে কখনও হয়নি।”
প্রত্যেকে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে বলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে, এ কথা উল্লেখ করে তিনি উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যেমন রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা অবাধ করে দিয়েছি সকলের জন্য, তেমনি অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের ক্ষেত্রে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, স্বাবলম্বী করে তুলছি।”
বাজেট দেবার জন্য বাংলাদেশকে কারও কাছে হাত পাততে হয় না এবং সে বাজেট ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, এ কথার উল্লেখ করেন তিনি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির মাধ্যমে দেশের তৃণমূলের মানুষকে দারিদ্রমুক্ত করার উদ্যোগগুলোর সুফল গ্রামের মানুষ পাচ্ছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংসদনেতা বলেন, “আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং দেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।”
তিনি সংসদ সদস্যদেরকে নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ও উন্নয়নের কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কি না সেদিকে নজর দিতে আহ্বান জানান। তিনি আশা করেন যে, তাহলে কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে হবে এবং দেশের উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, এদেশের মানুষই তো ভোটার। কাজেই তাদের সকল ধরনের মঙ্গল করা প্রত্যেক সংসদ সদস্যের দায়িত্ব।”
ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁর সরকার বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে এডিস মশাকে স্টেরিলাইড করে এর বংশবৃদ্ধি রোধ ও লার্ভা তৈরির ক্ষমতা বিনষ্টের দিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
“বার বার সবাইকে আহবান জানিয়েছি, এটাকে কেবল সরকারের একার পক্ষে ঠেকানো যাবে না। নিজের বাড়ি-ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং মশার লার্ভা যাতে না হয় সেটার ব্যবস্থা করতে হবে,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও যোগ করেন, “নিজেকে নিজেই সুরক্ষিত করতে হবে। আমরা সহযোগিতা করে যাব।”