ছাতার মতোই খুলবে অস্ট্রিয়ার নতুন সেতু
ভিয়েনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা টিইউ ওয়েনের গবেষকরা নতুন ধরনের এক সেতু স্থাপনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। প্রাথমিকভাবে এর একটি বাস্তব মডেলও তৈরি করা হয়। যা আপাতত স্থাপিত হচ্ছে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ল্যাফিনিজ নদীর ওপর।
অস্ট্রিয়ার নির্মিয়মান এস-৭ মহাসড়ককে হাঙ্গেরির সঙ্গে যুক্ত করবে সেতুটি।
নতুন ধরনের এই সেতু অনেকটা ছাতার মতো বিছানো হচ্ছে। সেতুটির দুই গার্ডারের মোট দৈর্ঘ্য ২৩৬ ফুট।
বিশালাকৃতির এক ক্রেনের দুই পাশে সেতুর গার্ডারগুলো (কংক্রিটের সমান্তরাল ধারক) খাড়াখাড়িভাবে যুক্ত। সুইচ টিপলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গার্ডারগুলো ছাতার মতোই সমান্তরালভাবে প্রসারিত হয়। এই কাজে সাহায্য করে ক্রেনের সঙ্গে যুক্ত বিশেষ ধরনের হাইড্রোলিক গিয়ার।
হাইড্রোলিক গিয়ারগুলোর নিচের অংশ যুক্ত থাকে মূল বিমের সঙ্গে। এটি সেতুটিকে সঠিক উচ্চতায় আনতে সাহায্য করে। এভাবেই ল্যাফিনিজ নদীর ওপরে সেতুর সবগুলো গার্ডার বসানো হয়েছে। পরবর্তীকালে এই গার্ডারগুলোর ওপর রাস্তা তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হবে।
নতুন এই সেতুর প্রযুক্তিটি এভাবেই কাজ করে, সে কথা জানালেন মূল নকশা প্রণয়নকারী জোহান কোলেগার। ভিয়েনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লগে তিনি এর বর্ণনা দেন। তিনি একে ছাতায় ব্যবহৃত প্রযুক্তির অনুকরণে তৈরি অভিনব নকশা বলেই দাবি করেছেন।
জোহান কোলেগার বলেন, আমাদের আবিষ্কৃত নতুন প্রযুক্তির কল্যাণে খাড়া পাহাড় এবং খাদ আছে- এমন বিপজ্জনক এলাকায় নির্মাণের সময় প্রাণহানীর ঝুঁকি অনেকটা কমে আসবে। এর মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত উচ্চতায় মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে গার্ডার বসানো সম্ভব। তাই এমন এলাকায় আরও দ্রুত সেতু নির্মাণ করা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ভিয়েনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় তহবিল বরাদ্দ দেয় অস্ট্রিয়া সরকারের আসফিনাগ করপোরেশন। নতুন প্রযুক্তিটি নির্মাণ খরচ অনেক কমিয়ে আনবে বলে আসফিনাগ সূত্র জানিয়েছে।
প্রধান গবেষক কোলেগার তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বিশ্বের অবকাঠামো নির্মাণশিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে- এমন আশা প্রকাশ করেন।