প্রতিবেশীকে কামড়ে দিয়েছিল মাইক টাইসনের বাঘ
মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মাইক টাইসন। তার তিনটি পোষা বাঘ ছিল। একবার তার বাড়ির সীমানায় ঢুকে পড়ে এক প্রতিবেশী নারী। আর তারপর সেই নারীকে আক্রমণ করে তিন বাঘের একটি।
ইনস্টাগ্রাম লাইভে পোস্ট করা "ফ্যাট জো শো" নামে এক ভিডিওতে র্যাপার ফ্যাট জোকে গল্পটি বলেছিলেন টাইসন।
জোকে টাইসন জানান, বাঘগুলোকে একেবারে বাচ্চা অবস্থায় নিয়ে আসেন তিনি। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে কারাগারে থাকা অবস্থায় প্রথম একজোড়া বাঘশাবকের অর্ডার দেন তিনি।
তিনি বলেন, সেসময় আমার এক বন্ধু গাড়ি আমদানি বন্ধ করে পশু আমদানি শুরু করে। একদিন ওকে জিজ্ঞেস করি আমি, কি ধরনের প্রাণি। আমার বন্ধু জানায়, ঘোড়া, বাঘ, সিংহ, এইসব। আর একটা পোষা বাঘ বা সিংহ রাখা ফেরারি গাড়ির চাইতেও বেশি সম্মান দেবে।
'ওই সময় আমার বয়স কম। তারপর আমি নিজের জন্য একজোড়া বাঘের বাচ্চা অর্ডার দিয়ে দিলাম। ভাবলাম, যখন জেল থেকে বের হব, বাড়িতে দুটো বাঘ অপেক্ষা করবে আমার জন্য'
একবার নাকি এক প্রতিবেশীকে কামড়ে দিয়েছিল এই দুজনের একটি, এমন ঘটনা সম্পর্কে টাইসনকে প্রশ্ন করেন জো।
টাইসন জানান, 'না, না, না। জো, যা ঘটেছিল তা নয়।
'আমার বাঘটি যেখানে ছিল সেখানে কেউ একজন আমার সীমানায় ঢুকে পড়ে। তারপর বাঘের সঙ্গে খেলতে শুরু করে। ওই মহিলাকে তো আমার বাঘ চেনে না, তাই এরকম একটি খারাপ দুর্ঘটনা ঘটেছে।'
টাইসন জানান, সেই নারী মামলাও করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু যখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পারেন যে তিনিই সেই বেড়াটি লাফিয়েছিলেন তখন আর এরকম কোন মামলা করা হয়নি।
'আর শোনো, যখন আমি দেখলাম আমার বাঘটি তার সঙ্গে কী করেছিল, তাকে আড়াই লাখ ডলার দিয়েছিলাম আমি। তখন অনেক টাকা ছিল আমার। কেননা তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল।'
'মাংসের জন্য যে বাঘগুলো কী করতে পারে, সে সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিল না আমার', জানান টাইসন।
'আর এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে কি শিখলাম জানো? আমি শিখলাম, এই প্রাণীটিকে কখনোই শতভাগ পোষ মানাতে পারবে না তুমি। এটা হবার কোন উপায় নেই। আমি বোকা ছিলাম। তাই আগে বুঝিনি।'
'হঠাৎ একদিন দুর্ঘটনাবশত ওরা তোমাকে মেরে ফেলবে। আর ওরা এতই শক্তিশালী যে, ইচ্ছা করে তোমাকে মারবে না, যা হবে দুর্ঘটনাক্রমেই হবে।'
'এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটবে খেলার সময়। খেলতে খেলতে তুমি হয়তো ওদের ঘুঁষি মারবে, তখন ওরাও তোমাকে খেলার ছলে আঘাত করবে- আর তারপরে দেখা যাবে তুমি মারা গেছ।'
এখন শখের এই বাঘগুলোকে একটি পুডল কুকুর দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছেন টাইসন। কিন্তু আজও বিশাল বিড়ালগুলোকে ভুলতে পারেন না টাইসন। আজও কখনো কখনো স্মৃতির পাতা উল্টে বাঘগুলোর কথা চিন্তা করেন তিনি।
'আমি ওদের খুব ভালোবাসতাম, আমি ওদের সঙ্গে ঘুমাতাম, খেলতাম' তিনি বলছিলেন।
তবে "আমি জানি দেরি হয়ে গেছে, তবু বলব এ ঘটনা আমাকে বাস্তব সত্য শিখিয়েছে। আমি ভুল করেছি।
'বাড়িতে তাদের রাখা উচিৎ হয়নি আমার। আমি ভুল করেছিলাম।'