শতবর্ষী নানীমার ‘২৫তম’ জন্মদিন
ইংরেজি বর্ষপঞ্জির লিপ ইয়ার নামক চক্রের ফেরে অনেক দুর্ভাগাই চার বছর পর জন্মদিন পালনের সুযোগ পান। তবে সকলের ক্ষেত্রেই তো বিষয়টি সমানভাবে দেখার সুযোগ নেই। ডরিস ক্লেইফে নামক এক ব্রিটিশ শতবর্ষী নারীর জন্যে তো মোটেই নয়।
ডরিস ক্লেইফে আজ বেশ আনন্দের সঙ্গেই আজ তার ২৫তম জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করছেন। আর তিনি যেন একটি বিশেষ জন্মদিন আয়োজন উপভোগ করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করেছে তার বর্তমান বাসস্থান যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথে অবস্থিত ব্রুনেল কোর্ট এলাকার বৃদ্ধাশ্রম।
লিপ ইয়ারে জন্ম তার ওপর আবার শতবর্ষ বাচার রেকর্ড সব মিলিয়ে দিনটি ডোরিসের জন্য এক বিশেষ অর্জন বটে। বিরল এই অর্জনকে সম্মান জানাতেই বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ স্থানীয় অধিবাসি, ডোরিসের বন্ধু-আত্মীয় এবং বেশকিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিকে এই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়।
তাকে ঘিরে এতো আয়োজনের চেষ্টায় দারুণ আনন্দ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন কেশ পরিচর্চাকারি এই শুভ্রকেশের প্রমাতামহী। হ্যাঁ একদম এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় তার দীর্ঘ জীবনকে।
১৯৭৯ সালে স্বামী স্যামকে হারান তিনি। এরপর ছিলেন মেয়ে আর তার জামাতার সঙ্গে। তাদের সঙ্গেই কাটান আরও ৪০ বছর।
এরপর গত বছরের মে'তে তার কন্যা মারা যাওয়ার পর এখন এই বৃদ্ধাশ্রমে এসে থাকছেন।
ডরিস ক্লেইফের নাতি-নাতনি দুজন; র্যাচেল আর ডেভিড। এদের সূত্রে প্রমাতামহী তিনি আরও তিন নাতনি; ক্রিস্টি, স্যামি এবং ইসা'র। আর এদের সন্তান আবার টিলা এবং থিয়া। অর্থাৎ পুরোদস্তুর চার প্রজন্মের জীবন্ত নানী হওয়ার বিরল সৌভাগ্যও হয়েছে ডরিসের।
ডরিসের মেয়ের মেয়ে র্যাচেল বোয়েন বলেন, আমরা নানীকে নিয়ে খুবই গর্বিত। আর তিনিও বিরল এই মাইলফলক অর্জন করে খুব উৎফুল্ল বোধ করছেন।
কারণ তার এবারের জন্মদিনকে আরও মধুর করে তুলতে সকল প্রজন্মের নাতি-নাতনিরাই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।