‘ইতিহাসের গল্প’ বলছেন যারা ডিজিটাল দুনিয়ায়
সত্তরের দশকের একটি পালকিটানা সাদাকালো ছবি মোবাইলের পর্দায় ভেসে উঠল। সে ছবির নিচে অসংখ্য মানুষ জুড়ে দিচ্ছে পালকিকে ঘিরে তাদের নানান স্মৃতি। তাদের কেউ কেউ ছোটোবেলায় দেখেছেন পালকিতে করে বউ নিয়ে যেতে, কেউ আবার নিজের বোনের বিয়েতে পালকি ব্যবহার করেছেন। কেউ আবার নিজেই পালকিতে চড়ে বিয়ে করেছেন। আবার পালকির সঙ্গে মানুষের বিয়ে হতে দেখেছেন, এমন আজব স্মৃতির রোমন্থনও করেছেন কেউ কেউ!
আরেকটি পোস্টে রয়েছে, মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র পেরেকের সঙ্গে চুল বেঁধে পড়াশোনা করছে। রাত জেগে পড়াশোনায় ঘুম যেন ব্যাঘাত না ঘটায়– সেজন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। ছবিটি ১৯৪৮ সালের দিকে তোলা। কিন্তু অনেকেই সে ছবিতে কমেন্ট করে লিখেছেন, তাদের বাবা বা গুরুজনেরাও পড়াশোনার জন্য মাঝে মাঝে চেয়ারের সঙ্গে নিজেদের বেঁধে রাখতেন। অনেকে আবার এই ছবি দেখে কেউ এ ব্যবস্থার নিন্দেও করেছেন, অনেকে পেয়েছেন বিনোদন। আবার মজা করে অনেকে টুকে দিয়েছেন এমন কমেন্ট, 'দারুণ হিটলারি আইডিয়া, আমিও এখন থেকে এভাবে পড়াশোনা করব!'
এই সাদাকালো পালকির ছবি এবং পড়াশোনার করার অভিনব কৌশলের ছবির মতো আরও অসংখ্য পুরোনো দিনের ছবি পাওয়া যায় 'ইতিহাসের গল্প' নামক একটি ফেসবুক পেজে। শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো বিশ্বের নানান ঐতিহাসিক, দুর্লভ, পুরোনো দিনের ছবি শেয়ার করে আসছে পেজটি।
যেভাবে এলো ইতিহাসের গল্প
২০২০ সালের মাঝামাঝিতে যখন করোনার প্রায় পাঁচ-ছয় মাস হয়ে গেছে- তখন এর পথচলা শুরু। আর এর হাতেখড়ি হয় যে মানুষটির হাত ধরে, তার নাম- মুহাইমিনুল ইসলাম অন্তিক। অন্তিক গল্প করতে ভালোবাসতেন ছোটবেলা থেকেই। গল্প শুনতে যেমন ভালোবাসতেন, তেমন গল্প বলতেও। তখন থেকেই বই পড়ার অভ্যেস।
আগ্রহের জায়গা ছিল নন-ফিকশন বিষয়গুলো। তবে মানবজাতির অতীত আর ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে আবেগ আর কৌতূহল যেন একটু বেশিই! বয়সের সাথে সাথে ইতিহাসের মাঝে ডুব দেওয়ার শখও যেন বাড়তে থাকে। কিন্তু তিনি জানতেন, সবার জন্যই ইতিহাস এক ক্লান্তির নাম। বইপত্রেও ইতিহাস বিষয়টি এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা পড়ে কখনো কেউ ইতিহাসের প্রকৃত রস আস্বাদন করতে পারবে না।
তাই তিনি ভাবতেন, কীভাবে একটু রসিয়ে গল্পের ছলে মানব ইতিহাসকে সবার সামনে তুলে ধরা যায়। ২০১৬ সালে একটি স্বনামধন্য অনলাইন পোর্টালের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আরও উপলব্ধি করলেন, ইতিহাসের মতো একঘেয়ে ও রসকষহীন বিষয়গুলোও আসলে চমৎকারভাবে লেখার সুবিধা আছে– যা অধিকাংশ মানুষই হয়তো জানে না।
তখন থেকেই প্রচুর নন-ফিকশনাল বই বিশেষ করে ইতিহাসবিষয়ক বই সংগ্রহ করার চেষ্টা শুরু করেন তিনি। কখনো লাইব্রেরি, কখনো অনলাইনে বিভিন্ন দেশের ম্যাগাজিন থেকে, কখনো দেশের বাইরে যারা আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন বই সংগ্রহ শুরু করলেন।
প্রথমদিকে অন্তিক নিজের ফেসবুক আইডি থেকেই টুকটাক ইতিহাসের গল্প বলা শুরু করেন। কিন্তু, একটা পর্যায় গিয়ে বুঝতে পারলেন, নিজের আইডি থেকে খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে না, তার ওপর তথ্যের যথার্থতা এবং পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি তো রয়েছেই।
অন্তিক তাই খুলে ফেললেন 'ইতিহাসের গল্প' নামক ফেসবুক পেজটি। গল্পে গল্পে এই গণমানুষের ইতিহাসগুলো কীভাবে তুলে ধরা যায়, সেটা নিয়েই শুরু হলো 'ইতিহাসের গল্প'।
১৫ জনের একটি নিবেদিতপ্রাণ দল
একটি ছবির সঙ্গে দু-এক বাক্যের কয়েকটি শব্দ জুড়ে দেওয়া দেখে খুব সামান্য কাজ মনে হলেও, সেই গোটাকয়েক শব্দ এবং ছবির সঙ্গে মিশে থাকে অনেক শ্রম, সাধনা। আর এর সঙ্গে অন্তিকই শুধু নয়, তার সঙ্গে সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আছেন– ড. মো. আদনান আরিফ সালিম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুলে ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমেই আছেন অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ (অধ্যাপক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) এবং অপরজন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম (অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক প্রো-ভিসি, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)।
এছাড়া রয়েছে ১২ জনের একটি নিবেদিতপ্রাণ দল, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে গবেষণা বিভাগে আছেন পাঁচজন। প্রযুক্তি বিভাগে আছেন দুইজন। দুইজন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন এবং অন্যরা যুক্ত আছেন বিভিন্ন নেটওয়ার্কিংয়ের কাজে। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইতিহাসগবেষকদের মতো জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের সার্বক্ষণিক সম্পৃক্ততা তো রয়েছেই। এছাড়া পাঠক-দর্শকশ্রেণী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরাও তাদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ বা সাহায্য করে যাচ্ছেন।
অন্তিক বলেন, 'দেখা যায় আমাদের যেসব ফলোয়ার আছেন, তাদের অনেকেই আবার বিভিন্ন বই থেকে বা ম্যাগাজিনে কিছু পেলে সেগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করছেন। কিংবা কোথাও (ঐতিহাসিক বা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে) ঘুরতে গেলে কিংবা লাইব্রেরি, ইতিহাস আত্মজীবনী বা কোনো কিছুর খোঁজ পেলে– নিজ থেকেই তারা আমাদের ছবি পাঠাচ্ছেন, নিজেদের স্মৃতি তুলে ধরছেন।'
দেশের বাইরে পরিচিতজনেরাও পাশে থেকেছেন
অন্তিক ২০১২ সাল থেকেই কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। প্রায় দশ বছর ধরে তিনি আছেন এই পথে। তবে এ বিষয়ে সবচেয়ে চমৎকার ধারণা পেয়েছেন- ইতিহাসবিষয়ক বিভিন্ন ম্যাগাজিন থেকে। দেশের বাইরে বিভিন্ন ম্যাগাজিন, তাদের ইলাস্ট্রেশন, সংক্ষেপে বর্ণনাগুলো দেখে অন্তিকের মনে হয়েছিল– ছোটোবেলা থেকে ইতিহাসের বিষয়গুলো যেভাবে পড়ানো হয় সেগুলো আসলে জানানোর জন্য না, শুধুই নম্বরের জন্য। ইতিহাসবিষয়ক বিদেশের অনেক ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ দেখে আফসোস হতো অন্তিকের। সে আফসোস থেকেও কিছু করার আগ্রহ জন্মায় তার ভেতর।
২০২০ থেকে শুরু করে ২০২১-এর মাঝামাঝি পর্যন্ত শুধু ছবিই পোস্ট করা হতো। দিনে ৫ থেকে ৮টি করে ছবি দিয়ে বর্তমানে পেজে ছবি শেয়ারের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালে পেজের মেসেঞ্জার বা ইনবক্সে পাঠকদের কাছ থেকে পরামর্শ এলো ভিডিও বানানোর। এতে করে ইতিহাসপ্রেমীরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাদের আগ্রহের বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
আর অন্তিকের মতে, এই বিষয়ে তাকে সবচেয়ে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল ৮-১০ বছর বয়সী বাচ্চারা। বই সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রুপে সেসব শিশুদের বইয়ের বিভিন্ন ভিডিও দিতে দেখে তিনিও অনুপ্রেরণা পান। তাই আর দেরি না করে, ২০২১ সালের জুন মাস থেকে তারাও ইউটিউবে একই নামে চ্যানেল খুলে ভিডিও দেওয়া শুরু করেন।
সেখানে এখন পর্যন্ত ভিডিও সংখ্যা ৯০-এর বেশি এবং ভিউ সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজারের কাছাকাছি। সাবস্ক্রিপশন ৯ হাজার ২০০-র বেশি ছিল। গত কয়েক মাসে ৩-৪ হাজার বেড়েছে এই সংখ্যা।
তাদের দাবি, আজ পর্যন্ত পেইড প্রমোশন করা না হলেও, ফেসবুক পেজটির ফলোয়ার ১ লাখ ১৮ হাজারের বেশি।
শুধু গল্পে গল্পে ইতিহাস বলা নয়, মানুষের কাছে তাদের সোনালি দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে দিচ্ছে ইতিহাসের গল্প। তাদেরই একজন নিয়মিত পাঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সুমন সাহা বলেন, 'প্রচণ্ড গরমে একফালি ঠান্ডা বাতাস যেমন প্রশান্তি দেয়, অতীতের সোনালি দিনের স্মৃতিগুলোও আমাদের মাঝে যেন তেমনই এক শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।'
ইতিহাসের গল্পের সহপ্রতিষ্ঠাতা আদনান আরিফ সালিম জানান, 'অতীতের সময়ের গল্পগুলো যখন আমরা শেয়ার করছি, মানুষজন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছে। আমরা অন্তত এটুকুই চেষ্টা করছি, যেন মানুষকে আমরা অতীতের সোনালি দিনের স্মৃতিটুকু ফিরিয়ে দিতে পারি।'
শুরু থেকেই ইতিহাসের গল্প মানুষের সাড়া পাচ্ছে
বিভিন্ন ভ্লগ, ফ্যাশন, খাওয়াদাওয়ার বাইরে গিয়ে ইতিহাসের মতো 'একঘেয়ে' একটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে যে তাদেরকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে, এমনটি নয়। বরং শুরু থেকেই পেয়ে এসেছে দর্শক, পাঠকের সাহচর্য।
সব বয়সের এবং সব পর্যায়ের মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন স্মৃতি বা অভিজ্ঞতা জোগাড় করে– সেগুলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন সময়ে পাঠক-দর্শকদের কাছ থেকে ইনবক্সে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ধারণা পেয়েছেন, সেগুলো নিয়ে কাজ করেছেন।
ইউটিউব চ্যানেলের কমিউনিটি সেগমেন্টে গিয়ে দর্শকের আগ্রহের বিষয় জানতে চেয়ে তার ওপর ভিত্তি করেও কয়েকটি এপিসোড নামিয়েছেন তারা। এবং সেখানে, ইউটিউব চ্যানেলে যুদ্ধ বা সাম্রাজ্যভিত্তিক ইতিহাসগুলোই বেশি উঠে এসেছে। এছাড়া আছে সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, বিশ্ব, খাওয়াদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও।
ইউটিউবে কনটেন্টগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেও নেওয়া আছে। সেখানে ইতিহাসের তত্ত্বকথা, প্লেগ মহামারির ইতিহাস, খাবারের ইতিহাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, গোয়েন্দা কাহিনি, সাম্প্রতিক বিশ্ব, বিচিত্র ইতিহাস, অপরাধজগত, সাম্রাজ্যের ইতিহাস নামে তাদের প্রায় ৯ টি প্লেলিস্ট আছে। পাঠক-দর্শকের সময়স্বল্পতার কথা মাথায় রেখে ১০-১২ মিনিট করে এক একটি ভিডিও বানানো হয়।
কখনো বইপত্র, কখনো অনলাইন, পুরোনো ম্যাগাজিন, পত্রিকা, বিভিন্ন খেলাধুলা, ইতিহাসবিষয়ক বিভিন্ন বিদেশি ম্যাগাজিন, আর্কাইভ, ব্রিটিশ লাইব্রেরি, আমেরিকান লাইব্রেরি অব কংগ্রেস—এসব জায়গা থেকে ছবি সংগ্রহ করেন তারা। আবার বিভিন্ন টিভিতে লাইভে যখন বিভিন্ন পুরোনো ছবি তুলে ধরা হয়, সেখান থেকে সূত্র দিয়ে সে ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়।
সাধারণত ৩-৫ দিন অন্তর অন্তর একটি করে নতুন ভিডিও আপলোড করা হয়। এই ভিডিওগুলো তৈরি হয় আটটি সেটে—বিষয় নির্ধারণ, গবেষণা পর্যায়, স্ক্রিপ্ট তৈরি, ভিডিওর জন্য রিসোর্স সংগ্রহ, ভয়েস দেওয়া, ভিডিও এডিট করা। তবে ফেসবুক পেজ হোক বা ইউটিউব চ্যানেল, সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয় গবেষণা পর্যায়কে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আর্থিক সম্মানীর ব্যবস্থা নেই এখানে।
'অনেক সময় পাঠকরাই প্রমাণসহ যুক্তি দিয়ে তাদের বুঝিয়ে দেয়'
যেহেতু, 'ইতিহাসের গল্প' প্ল্যাটফর্মটি সম্পূর্ণ ১৫ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক দলের দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই পেশাগত জীবনের কাজ শেষ করে তবেই এই কাজটি নিয়ে বসতে হয় তাদের। ফলে কেবল তারাই এই কাজে যুক্ত হতে পারে, যাদের মধ্যে সেই পর্যায়ের উদ্যমী শক্তি দেখা যায়, জানান অন্তিক।
দেশের সীমানা পেরিয়ে বাংলাভাষী পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষও আছেন, যারা তাদের নিয়মিত ফলো করছেন। অন্তিক জানান, 'মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে এত দূর আসতে পারব, কখনো ভাবতে পারিনি।'
তবে সালিম বলেন, 'আমরা যে কখনো কোনো ভুল করিনি– সেটা বলা যাবে না। কিন্তু যদি এক-দুবার ভুল করেও থাকি, সেটা আমাদের নজরেও এসেছে এবং আমরা ভুল শুধরে নিয়েছি'।
'মাঝে মাঝে যে হতাশাজনক কিছু ঘটেনি তা না। অনেকেই সত্যতা যাচাই না করে ভুয়া বা মিথ্যা দাবি করে, ঝাঁঝালো মন্তব্য করে বসে। শুরুতে তাদেরকে আমাদেরই সামলাতে হলেও, এখন পাঠকরাই পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় পাঠকরাই প্রমাণসহ যুক্তি দিয়ে তাদের বুঝিয়ে দেয়।' অন্তিক মনে করেন, এটি অনেক বড় অর্জন তাদের।
কেবল দু-বছর হলো 'ইতিহাসের গল্প' শুরু হয়েছে। শুরু থেকে পাঠকদের ভালোবাসা পেলেও, খাটতে হয়েছে নিজেদের উজাড় করেই। ইতোমধ্যেই পেজটি ইউটিউব ও ফেসবুক দু-জায়গাতেই পাঠকের জ্ঞান চর্চার বিশ্বস্ত স্থান হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পেজটির একটি ওয়েবসাইট তৈরির কাজ চলছে। যেখানে থাকবে এসব ভিডিওর স্ক্রিপ্টসহ বিভিন্ন নিবন্ধ। তাছাড়া, অদূর ভবিষ্যতে এসব বিষয়ের ওপর বই লেখার স্বপ্নও বুনছে ইতিহাসের গল্প।