যেভাবে ব্যবহৃত রান্নার তেলকে পরিবেশবান্ধব করে পুনর্ব্যবহার উপযোগী করছে মুয়েনজের বাংলা
একদম মচমচে ভাজা সুস্বাদু সমুচা বানাতে হলে ৪ সেন্টিমিটার গভীর তেলে ১৭৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সেটি ভাজতে হবে। কিন্তু রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে এত বেশি পরিমাণ তেলে এমন খাবারগুলো ভাজার পরে বেঁচে যাওয়া তেল নিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।
কারণ অবশিষ্ট ওই তেল হয় ফের রান্নায় ব্যবহার করতে হবে নয়তো ফেলে দিতে হবে। সবদিক বিবেচনায় দুটোই ক্ষতিকর। কারণ ব্যবহৃত তেল যদি ফের রান্নায় করাটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার এই ব্যবহৃত তেল বর্জ্য আকারে ফেলে দেওয়া হলে সেটি হবে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
রান্নার তেল পুনরায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেলে 'ট্রান্স ফ্যাট'-এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং সেগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে রান্নার তেল ফেলে দিলে সেটি সুয়্যারেজ লাইন আটকে দিতে পারে এবং মাটি ও পানি দূষণ করে।
প্রতি বছর বাংলাদেশে গড়ে ২০ লাখ টন ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদার ৯০ ভাগই দেশের বাইরে থেকে সয়াবিন বীজ, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল ইত্যাদি আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া মূল রপ্তানিকারক দেশ।
দ্য কাউন্সিল অভ পাম অয়েল প্রোডিউসিং কান্ট্রিজ-এর ২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, মাথাপিছু ভোজ্য তেল গ্রহণের পরিমাণ গত ৫ বছরে ২০ ভাগ বেড়েছে।
ব্যবহৃত রান্নায় তেল বড় বড় হোটেল ও রেস্টুরেন্ট থেকে একদল ব্যবসায়ী সংগ্রহ করেন এবং ছোট ছোট খাবারের দোকানগুলোতে সেগুলো বিক্রি করেন। এমনকি ফের ব্যবহারের জন্য তেলগুলোকে ফিল্টার করা হয় এবং রাসায়নিক মিশিয়ে দেখতে অনেকটা পরিষ্কার বানানো হয়। আবার রান্নায় ব্যবহৃত এ তেলের অল্প অংশ ব্যবহার করা হয় খোলা সাবান তৈরিতে।
এ বিষয়ে মুয়েনজের বাংলা প্রাইভেট লিমিটেডের চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার গৌতম অভি বড়ুয়া বলেন, 'রাস্তার পাশে থাকা রেস্টুরেন্টগুলোতে বিক্রি করা বেশিরভাগ ভাজা খাবারেই মূলত রান্নায় ব্যবহার করা তেলগুলোকে পুনরায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি চানাচুর কিংবা লাচ্ছা সেমাইয়ের মতো হালকা খাবার তৈরিতেও এ তেল ব্যবহার করা হয়।'
মুয়েনজের বাংলা প্রাইভেট লিমিটেড অস্ট্রেলিয়ার মুয়েনজের বায়োইন্ডাস্ট্রি জিএমবিএইচের একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান। তিন বছর আগে কোম্পানিটি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে কোম্পানিটি দেশের প্রায় ১ হাজার ২০০ টি ফুড বিজনেস অপারেটরের (রেস্টুরেন্ট, হোটেল) কাছ থেকে ব্যবহৃত রান্নার তেল সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে তা থেকে বায়োডিজেল তৈরি করা হয়।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি প্রায় ৭০ টন ব্যবহৃত রান্নার তেল সংগ্রহ করেছে। কোম্পানিটি আরও ২ হাজার রেস্টুরেন্টকে নিজেদের পোর্টফলিওতে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে বার্গার কিং, গ্লোরিয়া জিনস, বিএফসি, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, র্যাডিসন, ড্যানিশ, ইস্পাহানী ইত্যাদি বিখ্যাত সব কোম্পানি রয়েছে।
বর্তমানে মুয়েনজের বাংলার ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে অফিস রয়েছে। প্রায় ৪৭ জন কর্মী এখানে কাজ করছে। এছাড়াও কক্সবাজারে তাদের একটি ওয়্যারহাউস রয়েছে।
উদ্যোগটি সম্পর্কে গৌতম অভি বলেন, 'প্রথমত, ব্যবহৃত রান্নার তেল যাতে ফুড চেইনে ফের ঢুকতে না পারে আমরা সেটি নিশ্চিত করতে চাই। স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সংগ্রহকারী তেলগুলো ব্যবহার করে নকল সরিষার তেল কিংবা ঘি প্রস্তুত করে থাকেন। দ্বিতীয়ত, ব্যবহৃত রান্নার তেলগুলো যাতে সঠিকভাবে অপসারণ করা হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।'
গৌতম অভি জানান, এক কেজি ব্যবহৃত রান্নার তেল একটি সুইমিং পুলকে পুরো দূষিত করে দিতে পারে। আমাদের ক্লিনাররা অনেকসময় অভিযোগ করেন যে বেশ কয়েকবার ব্যবহার করা এ তেল থেকে পচা গন্ধ আসে। অথচ এই তেলই আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে!
বায়োডিজেলে রূপান্তর কেন?
বায়োডিজেলের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কম। তাই এটি পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো। যেহেতু বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে সময়ের সাথে সাথে বেশ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে, তাই বাংলাদেশও খুব শীঘ্রই 'পরিবেশবান্ধব জ্বালানি' ব্যবহার শুরু হতে পারে।
গৌতম অভি বলেন, 'ইউরোপে বর্তমানে ডিজেলের সাথে ৭ ভাগ বায়োফুয়েল মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। পেট্রোল কিংবা অকটেনের সাথে ১০ ভাগ ইথানল মিশিয়ে বিক্রি করতে হয়। বাংলাদেশেও খুব শীঘ্রই হয়তো কার্বন নিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানির সাথে বায়োফুয়েল মিশিয়ে বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হবে।'
এক লিটার ব্যবহৃত রান্নার তেল থেকে ৯০০ মিলিলিটার বায়োডিজেল ও ১০০ মিলিলিটার গ্লিসারিনসহ নানা উপজাত তৈরি করা হয়। চিকিৎসা ও ত্বকের যত্নে ব্যাপকভাবে গ্লিসারিনের ব্যবহার রয়েছে।
বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জ্বালানি, সম্পদ ও পণ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়েই জ্বালানির বিকল্প উৎস খুঁজে বের করা জরুরি।
পরিবেশবান্ধব তেল তৈরিতে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে দেশগুলো জলবায়ুর ওপর সার্বিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে। একইসাথে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই জ্বালানি প্রাপ্তির সুযোগও তৈরি হবে।
মুয়েনজের বায়োইন্ডাস্ট্রির এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'বায়োডিজেলের একটা চমৎকার দিক হচ্ছে, এটি বেশ কয়েকটি উৎস থেকে তৈরি করা যায়। যেমন, শুধু ব্যবহৃত রান্নার তেল থেকেই নয়, বরং বিকল্প হিসেবে ফিডস্টক থেকেও এটি তৈরি করা যায়। একইসাথে বায়োডিজেল তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ করে। এতে করে জাতিসংঘের কিয়োটো প্রটোকলের নির্দেশনাও মেনে চলা সম্ভব হয়।'
দক্ষিণ এশিয়ায় মুয়েনজের সর্বপ্রথম ভারতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কোম্পানিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
কোম্পানিটির তথ্যমতে, ভারতের মুম্বাইয়ে মুয়েনজের বায়োইন্ডাস্ট্রির সহযোগী কোম্পানিটি চালুর পর প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও ব্যবসায় বিষয়টি ভাবা হয়। এক্ষেত্রে দুটি দেশের মধ্যকার ভৌগলিক নৈকট্য থাকায় আইএসসিসির ছাড়পত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠানটি ভারতের পর বাংলাদেশের মার্কেটেও প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেয়।
গৌতম অভি বলেন, 'বাংলাদেশে ব্যবহৃত ভোজ্য তেল কিংবা বায়োডিজেল নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক কোম্পানি কাজ করছে না। তাই এই আগাম সুবিধাটি নিতেই আমাদের কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে। ভবিষ্যতে আমরা একটি বায়োডিজেল প্লান্ট নির্মাণের কথা ভাবছি।'
ব্যবহৃত ভোজ্য তেল সংগ্রহ
রেস্টুরেন্টগুলোর ব্যবহৃত রান্নার তেল সংগ্রহ করতে যেয়ে কোম্পানিটির বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কেননা স্থানীয় গ্রাহকেরা এ তেল বেশ ভালো দামেই কিনে নেয়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটিকে প্রতি লিটার ব্যবহৃত রান্নার তেল ৫৫ টাকায় কেনার অনুমতি দিয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে এ তেল সংগ্রহ করা হচ্ছে। মান ও নানা কৌশলগত কারণে ব্যবহৃত রান্নার তেলের দামের মধ্যে তারতম্য দেখা যায়।
অন্যদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটার ব্যবহৃত রান্নার তেল ক্ষেত্রবিশেষে ৮০ টাকা দরেও কিনে থাকেন। কিন্তু কর্মীদের বেতন ও নানা খরচের কারণে মুয়েনজের কোম্পানির পক্ষ থেকে এত দামে কেনা সম্ভব নয়। এমনকি বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে কোম্পানিটি এখনও লাভ করতে পারেনি।
প্রথমে মুয়েনজের কোম্পানি রেস্টুরেন্টগুলোর সাথে চুক্তি করে থাকে। এরপর কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ওই রেস্টুরেন্টে ড্রাম স্থাপন করা হয়। যখন ড্রামগুলো ব্যবহৃত রান্নার তেলে পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ কোম্পানিকে খবর দেয়। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে কর্মীরা এসে ড্রামে থাকা তেলগুলো নিয়ে যান।
একইসাথে ব্যবহৃত রান্নার তেলগুলো সংগ্রহ করার জন্য তারিখ নির্ধারণের পদ্ধতিও রয়েছে। এক্ষেত্রে মুয়েনজের কোম্পানির পক্ষ থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই অনুযায়ী তেল সংগ্রহ করতে কর্মী পাঠানো হয়।
এ সম্পর্কে গৌতম আভি বলেন, 'আমরা আইএসসিসি স্বীকৃত কোম্পানি। তাই আমরা সবকিছুর শতভাগ হিসাব রাখি। একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ঠিক কী পরিমাণ তেল সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং কী পরিমাণ রপ্তানি করা হয়েছে সেগুলো সবই জানা সম্ভব।'
ব্যবহৃত রান্নার তেল কোম্পানি কর্তৃক সংগ্রহের পর ফাইনান্স টিমের পক্ষ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেস্টুরেন্টগুলোতে অর্থ পরিশোধ করা হয়। সংগ্রহকৃত তেল রাজধানীর বনশ্রীতের মেরাদিয়া রোডের গোডাউনে জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে অস্ট্রিয়াতে শিপমেন্ট করা হয়।
ভবিষ্যৎ
সরকারের পক্ষ থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভোজ্য তেল ও ট্রান্স ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির কাজ করা হচ্ছে। ফুড সেইফটি হাইজিন রেগুলেশন ২০১৮-এর তথ্যমতে, রান্নায় ব্যবহৃত তেল এক ধরনের বর্জ্য এবং এটি পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। এমনটি করলে সেটি হবে আইনের লঙ্ঘন।
তবে রেস্টুরেন্টগুলো বিষয়টি নিয়ে একেবারেই সচেতন নয়। ব্যবহৃত রান্নার তেল ফের ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে তারা বেশ উদাসীন। তবে কোম্পানি হিসেবে মুয়েনজের ব্যবহৃত রান্নার তেলের নানামুখী স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চায়।
অবশ্য অভি মনে করেন, খাদ্য ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত রান্নার তেলের বিষয়ে মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, 'আমরা একবার একটি বড় হোটেল চেইনের সাথে আলোচনায় বসেছিলাম। আমাদের পক্ষ থেকে দাম বলার পর তারা বলেন যে, "আপনি কি জানেন আমাদের তেল কতটা ভালো? আমরা শুধু দুইবার তেলটা ব্যবহার করি এবং সাথে সাথেই সেগুলো ফেলে দেই।"'
এ বিষয়ে মুয়েনজের বাংলার স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজার ফাহিমুল আলম খান বলেন, 'শহরের প্রতিটি বাড়িতে বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি মাসে আমরা সিটি কর্পোরেশনকে বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য অর্থ দিয়ে থাকি। ব্যবহৃত ভোজ্য তেলও এক ধরনের বর্জ্য। এটি দিয়ে ব্যবসা করে কে কত টাকা মুনাফা করল সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়। কেননা এই তেল কোনো না কোনোভাবে আমাদের ক্ষতি করবেই।'
কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে মুয়েনজের বাংলার পক্ষ থেকে ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তরফে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের রেস্টুরেন্ট মালিকদের জন্য সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন তৈরির মাধ্যমে ব্যবহৃত রান্নার তেল সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া উচিত বলে মনে করেন গৌতম অভি। ভবিষ্যতে মুয়েনজের বায়োইন্ডাস্ট্রি জিএমবিএইচ পুরো বাংলাদেশেই তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চায়।
এক্ষেত্রে শুধু রেস্টুরেন্ট নয়, বাসাবাড়ি থেকেও ব্যবহৃত রান্নার তেল সংগ্রহ করতে চায় কোম্পানিটি। একইসাথে এসডিজির লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে ফুডপান্ডা প্ল্যাটফর্মে অধিকতর পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়েও মুয়েনজেরের পক্ষ থেকে একটি ক্যাম্পেইন চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।