বিয়ের উপহার হিসেবে নগদ টাকাই এখন কেন বেশি কাঙ্ক্ষিত
'আমার বিয়েতে পাঁচটা রাইস কুকার, তিনটা গ্রাইন্ডার উপহার পেয়েছিলাম', 'এক বন্ধুর বিয়েতে জুসার পেয়েছিল ১১ টা', 'খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে ৩০ সেটের উপর শুধু গ্লাস সেটই পেয়েছিল'- বিয়ের উপহার বিষয়ক এক ফেসবুক পোস্টের নিচে মন্তব্যগুলো দেখেছিলাম। স্কুলজীবনের বন্ধুর বিয়েতে কী উপহার দিব ভাবতে গিয়ে তাই নগদ টাকার বিকল্প আর কিছু মাথায় এলো না। নিশ্চিত হওয়ার জন্য বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলে সে-ও জানালো এই মুহূর্তে নগদ টাকা পেলেই সবচেয়ে ভালো হবে তার জন্য। রঙিন কাগজ কিনে, নিজ হাতে খাম বানিয়ে চিরকুটে শুভেচ্ছাবার্তাসহ নগদ অর্থ উপহার দিয়েছিলাম বন্ধুর নতুন জীবনের শুরুতে।
দেশীয় বিয়েতে উপহার হিসেবে নগদ টাকার উপযোগিতা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেড়ে চলেছে। নিকটাত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব বা স্বল্প পরিচিত যে কারো বিয়েতেই নগদ টাকা দেওয়াটাই সুবিধাজনক মনে করছেন দাওয়াতি মেহমানেরা। অনুষ্ঠানের আয়োজক অপরপক্ষের কাছেও নগদ অর্থ বেশ সমাদৃত হচ্ছে উপহার হিসেবে। কোনো বিয়েতে আজকাল ১০০ শতাংশ উপহারই আসছে নগদ টাকা। বিয়ের উপহার হিসেবে নগদ অর্থের এই জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে নানা কারণ।
উপহার বাছাইয়ের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি
যাদের জন্য আয়োজন, তাদের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে দাওয়াতি মেহমানদের সবার ধারণা না থাকাটাই স্বাভাবিক। আবার দেশীয় বিয়েতে দাওয়াতের তালিকাটা যেহেতু বেশ বড় হয় তাই একই উপহার কয়েকজনের কাছ থেকে পাওয়াটাও খুবই সাধারণ বিষয়। শেষমেশ বিয়েতে উপহার পাওয়া অপ্রয়োজনীয় বেশিরভাগ জিনিস অন্যদের দিয়ে দেওয়া বা কমদামে বিক্রি করে দেওয়া ছাড়া সেগুলোর কোনো উপযোগ থাকে না পাত্র-পাত্রীর কাছে।
তাই বিয়ের দাওয়াতে কী উপহার নিয়ে যাব- ভাবনাটি হরহামেশাই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় আমাদের। এক্ষেত্রে নগদ টাকা উপহার দেওয়া বেশ সহজ সমাধান।
এছাড়াও উপহার বয়ে নিয়ে যাওয়ার অসুবিধা, কিনতে গিয়ে সময় ব্যয় করার ঝামেলা থেকেও মুক্তি মেলে নগদ অর্থ দেওয়াতে। 'শহরের রাস্তাঘাটের যে অবস্থা! এখানে কোনো দাওয়াতে গেলেও কয়েক ঘণ্টা জ্যামের ঝক্কি পোহাতে হয়। এরমধ্যে আবার গিফট কিনতে মার্কেটে যেতে হলে তো অতিরিক্ত সময় নষ্ট। ক্যাশ টাকা দিয়ে দিলে অনেকটা সময় বাঁচে,' বলছিলেন ঢাকার বাসিন্দা সাইফ।
এমনকি দাওয়াতের কার্ডে প্রায়ই লেখা থাকে- 'নো গিফট' বা 'উপহার কাম্য নয়'। নীলক্ষেতের কার্ড ব্যবসায়ী মো. বাদলের মতে, 'উপহার কাম্য নয়'-এর অর্থও অনেক সময় হতে পারে 'কেবল নগদ অর্থ কাম্য!' তার ভাষ্যে, 'কার্ডে এরকম লেখার নির্দেশ দেওয়া দুজনকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কেন তারা উপহার নেন না। উত্তরে জানিয়েছিলেন, উপহারে পাওয়া জিনিসপত্র বেশিরভাগ সময়ই কাজে লাগে না। সরাসরি নগদ টাকা চাওয়ার চেয়ে এভাবে লিখে দিলে অনেকেই বুঝে নেয় নগদ অর্থ দেওয়াটাই শোভনীয়।'
নিজেদের পছন্দে খরচ করতে পারেন নবদম্পতি
এ বছরের শুরুতেই বিয়ে করেছেন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত মীর রায়হান মাসুদ। জানালেন, তার বিয়েতে উপহার হিসেবে নগদ অর্থই পেয়েছেন বেশি। নতুন পথচলার শুরুতে যা বেশ কাজে এসেছে বলেই মনে করেন। তার ভাষ্যে, 'বিয়েতে নগদ টাকা উপহার উভয়পক্ষের জন্যই একটা উইন-উইন সিচুয়েশন। যারা উপহার দিচ্ছেন তাদের যেমন উপহার কিনতে কোথাও যেতে হচ্ছেনা, কী দিবেন তা পছন্দ হবে কি না ভাবতে হচ্ছে না তেমনি পাত্র-পাত্রীও লাভবান হচ্ছে। উপহার পাওয়া টাকা দিয়ে আমাদের নতুন সংসারের জন্য কিছু ফার্নিচার কিনেছিলাম আমরা। বাকি টাকা দিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরতে গিয়েছি।'
বেসরকারি যোগাযোগ সংস্থায় কর্মরত আফ্রা নাওমী বিয়ে করেছেন গত মে মাসে। তার বিয়ের উপহারের প্রায় ৬০ শতাংশই ছিল নগদ টাকা। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আর সহকর্মীদের কাছ থেকে আশীর্বাদ হিসেবে পাওয়া এই টাকা দিয়ে নতুন সংসারের অনেক প্রয়োজনীয় আর শখের জিনিস কিনেছেন বলে জানান তিনি। নাওমীর মতে, 'বিয়ের উপহার হিসেবে নবদম্পতির জন্য ক্যাশ টাকার চেয়ে কাজের উপহার আর কিছুই হতে পারে না।'
নতুন জুটির ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ সঞ্চয় হিসেবেও কাজে আসে উপহারের নগদ অর্থ, জানান বছরখানেক আগে বিয়ে করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাদিয়া আশরাফী থিজবী। তার বিয়েতে নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ সঞ্চয় করে রেখেছেন ব্যাংকে।
কিছুটা হলেও লাঘব হয় বিয়ের খরচ
'গতবছর বোনের বিয়ের আয়োজনে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া, খাবার-দাবার, কেনা-কাটাসহ সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল আমার বাবার। মধ্যবিত্ত পরিবার হিসেবে এটা বেশ বড় একটা এমাউন্ট। বোন নিজে চাচ্ছিলোনা এত আয়োজনের। কিন্তু একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে বাবা-মা জোর করেই আয়োজন করেছিলেন। এতে তাদের সঞ্চয়ের অনেকটাই ভাঙতে হয়েছিল। বিয়েতে অন্যান্য অনেক উপহারের পাশাপাশি নগদ টাকা উপহার এসেছিল প্রায় দুই লাখ টাকার মতো। পুরো টাকাটাই আপু বাবার হাতে তুলে দিয়েছিল,' বলছিলেন গাজীপুরের বাসিন্দা হাসান।
বিয়ে মানেই খরচের কোনো অন্ত নেই। দিন দিন এই খরচের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অনেকের সামর্থ্য না থাকলেও সামাজিকতার খাতিরে করতে হয় বড় আয়োজন। খরচের ধকল সামলাতে ব্যাংক বা পরিচিতজনদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার ঘটনাও দেখা যায় অহরহ। এই পরিস্থিতিতে উপহার হিসেবে পাওয়া নগদ টাকা কিছুটা হলেও লাঘব করে বিয়ের খরচ।
ঢাকার বাসিন্দা বৃষ্টি মাহবুব রহমান বলেন, 'অধিকাংশ মধ্যবিত্তের বিয়েতে মুদি দোকান থেকে অনেক বাজার আনা হয় বাকিতে। উপহার হিসেবে ক্যাশ টাকা উঠলে দোকানের বাকি টাকা সন্ধ্যার মধ্যেই পরিশোধ করে দেয়। তাই বিয়ের গিফটে টাকা দিলে আয়োজকদের খুব উপকার হয়।'
দেশে বেশিরভাগ বিয়ের মূল আয়োজক হয়ে থাকেন বাবা-মা। তাই অধিকাংশ সময় উপহার হিসেবে পাওয়া টাকার পুরোটাই বা কিছু অংশ অভিভাবকেরাই রেখে দেন। যেমন, ঢাকার বাসিন্দা জেসমিন জুই মনে করেন, যারা খুব ধনী তারা উপহার হিসেবে পাওয়া অর্থগুলো চাইলেই তাদের তাদের ছেলেমেয়ের নতুন জীবনের জন্য তুলে রাখতে পারেন। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত তাদের এই সুযোগটা থাকেনা। তিনি বলেন, 'আমার মেয়ের বিয়েতে যা পেয়েছি, খরচের ভাগ উঠে যাবার পর ওকে দিয়ে দিয়েছি। আবার আমার বড় বোন পুরোটাই তার ছেলেকে দিয়ে দিয়েছে। কেননা তাদের দরকার ছিল না সেই টাকার।'
এমন আরেক অভিভাবক জিনাত রেহানা। প্রায় দুই যুগ ধরে কাজ করছেন মার্কিন দূতাবাসে। স্বামী মারা যাবার দু'বছর পর একা হাতে বিয়ে দিলেন বড় মেয়েকে। ব্যাংক থেকে ধার না নিতে হলেও কিছু এফডিআর ভাঙ্গতে হয়েছে। তাই বিয়েতে বর-কনে দু পক্ষ থেকেই যে টাকাটা উঠে এসেছে সেখান থেকে মেয়ের হানিমুনের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা রেখে বাকিটা নিয়েছেন দুই পরিবার।
দায়ী মুদ্রাস্ফীতিও
বিয়েতে নগদ টাকা উপহারের রীতি নিয়ে সম্প্রতি বিয়ে করা নতুন দম্পতি আর কয়েক দশক আগে বিয়ে করা পুরোনো দম্পতি- উভয়পক্ষের অভিজ্ঞতাই জানতে চেয়েছিলাম আমরা। আলোচনায় দেখা যায়, কয়েক দশক আগের তুলনায় সাম্প্রতিক বিয়েতে নগদ টাকা উপহারের রীতি বেড়েছে।
ঢাকার বাসিন্দা নিতু রহমান বলেন, '২০০৭ সালে আমার বিয়েতে অন্যান্য উপহারের চেয়ে ক্যাশ টাকা পেয়েছিলাম অনেক বেশি। কিন্তু আমার বড় তিন বোন, যাদের বিয়ে হয়েছে আরো অন্তত ১০-১৫ বছর আগে তাদের কারো বিয়েতে উপহার হিসেবে ক্যাশ টাকা আসেনি। দূরের আত্মীয়, পরিচিতরা বেশিরভাগ কাঁচের জিনিসপত্রই দিতেন। আর কাছের আত্মীয়স্বজন, যাদের বাজেট ছিল তুলনামূলক বেশি, তারা স্বর্ণের অলংকার, আসবাবপত্র, ফ্রিজ-টিভি ইত্যাদি দিয়েছিলেন।'
সময়ের সঙ্গে বিয়ের উপহার হিসেবে নগদ টাকা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ার পেছনে একটি বড় কারণ হিসেবে ফিনপাওয়ার লিডারশিপ ইন্টারন্যাশনালের সিইও, অর্থনীতি বিশ্লেষক সাইফুল হোসেন দায়ী করেন মূল্যস্ফীতিকে। তার মতে, 'কয়েক দশক আগে দুই-পাঁচ হাজার টাকায় অনেক ভালো উপহার পাওয়া যেত। স্বর্ণের দামও ছিল অনেক কম। কিন্তু এখন আপনি একটা মোটামুটি ভালো স্বর্ণের অলংকার কিনতে গেলে ২০-৩০ হাজার টাকা লেগে যাবে। বিয়ের উপহার দিতে এত টাকা খরচ করার সামর্থ্য অনেকেরই হয় না। অন্যান্য সব জিনিসের দামও দিন দিন কয়েকগুণ বাড়ছে। তাই বাজেট অনুযায়ী মনমতো উপহার কিনতে না পেরে নগদ টাকা দিয়ে দেওয়াটাই সুবিধাজনক ভাবছে মানুষজন।'
উপহার দেওয়ার আগে মাথায় রাখবেন যেসব বিষয়
নগদ টাকা উপহার দেওয়া উভয়পক্ষের জন্যই সুবিধাজনক জেনেও অনেকেই বিয়েতে সরাসরি টাকা দিতে দ্বিধান্বিত থাকেন। কত টাকা দেওয়া উচিত, আয়োজকরা কী ভাববেন, হাতে সরাসরি টাকা দিবেন কি না, নগদ টাকা দিলে স্মৃতিস্বরূপ কিছুই থাকবে না- ইত্যাদি নানা ভাবনা আসতে পারে মনে। উপহার দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে মুক্তি পাওয়া যাবে এসব দ্বিধা থেকে। যেমন:
- কাছের মানুষের বিয়ে হলে সরাসরি তাকেই জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন তার জন্য কোন উপহারটি সবচেয়ে ভালো হবে।
- অপরপক্ষের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখেও ঠিক করতে পারেন তার কাছে নগদ টাকা প্রয়োজনীয় হবে কি না।
- নগদ টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি হাতে না দিয়ে সুন্দর খামে করে দিতে পারেন। বিভিন্ন দোকানে কিনতে পাওয়া যাবে নান্দনিক নকশার খাম। অনলাইনে ভিডিও দেখে রঙিন কাগজ দিয়ে চাইলে নিজেও খাম বানিয়ে নিতে পারবেন।
- টাকার পাশাপাশি নিজ হাতে কাগজে লিখে দিতে পারেন সুন্দর কোনো শুভেচ্ছাবার্তা। টাকাগুলো খরচ হয়ে গেলেও আপনার শুভেচ্ছাসহ চিরকুটটি স্মৃতি হয়ে থেকে যেতে পারে আজীবন।
- উপহার হিসেবে কত টাকা দেবেন তা নির্ভর করে আয়োজকদের সঙ্গে আপনার পারস্পারিক সম্পর্কের উপর। সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা মাথায় রেখে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী উপহারের অর্থের পরিমাণ ঠিক করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
- টাকার পরিমাণ বেশি হলে ব্যাংক ট্রান্সফার বা চেকের মাধ্যমেও দিতে পারেন উপহার।
- বিকল্প হিসেবে দিতে পারেন প্রাইজবন্ড। দরকার পড়লে ব্যাংক থেকে সেগুলো ভাঙিয়ে নগদ টাকা নেওয়া যাবে। অথবা কে জানে আপনার উপহার ভাগ্যের সুবাদে নবদম্পতি লটারিতে পেয়েও যেতে পারেন বিশাল অংকের টাকা!
কেবল দেশেই নয়, মহাদেশ জুড়ে জনপ্রিয় এই রীতি
বাংলাদেশের বাইরেও এশিয়া মহাদেশ জুড়ে বেশিরভাগ দেশেই উপহার হিসেবে নগদ টাকা দেওয়ার রীতি বেশ জনপ্রিয়। ভারত, পাকিস্তান, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ইত্যাদি দেশে বিয়ের উপহার হিসেবে টাকাই অধিক গ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখা হয়। এশিয়ার বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বিয়েতে নগদ টাকা উপহারের রীতি। বিভিন্ন দেশে উপহারের ক্ষেত্রে টাকা দেওয়ার রয়েছে নানা নিয়মকানুন।
জাপানে একসময় উপহারের টাকা দেওয়া হত কেবল লাল-সাদা খামে। বর্তমানে নানান রঙের খাম জায়গা দখল করেছে উপহারের খাম হিসেবে। চীনে বিয়ের উপহারের টাকার খাম সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সাদা খামে করে চকচকে নতুন নোট দেওয়া হয় উপহার হিসেবে।
দেশ অনুযায়ী উপহারের টাকার পরিমাণ নির্ধারিত হয় নানান সংস্কার মেনে। ভারতীয় বিয়েতে উপহার হিসেবে যেকোনো পরিমাণের টাকার সঙ্গে ১ টাকা যোগ করে দেওয়া হয় সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ সংখ্যাটিকে মৃত্যুর প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। তাই উপহারের টাকার অংকে ৪ যেন না থাকে সেই খেয়াল রাখা হয়। জাপানি বিয়েতে এমন কোনো অংকের টাকা উপহার দেওয়া হয় না যেটি ২ দিয়ে বিভাজ্য, কারণ অংকটি সহজেই ভাগ করা যায়! চীনে ৮ দিয়ে শেষ হওয়া অংককে প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। তাই এই দেশে উপহারের টাকার অংক শেষ হয় ৮ দিয়ে!