হিমালয় কোয়েল থেকে কিউবান কাইট: হারিয়ে যাওয়া পাখির খোঁজে...
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি 'মোস্ট ওয়ান্টেড' প্রজাতির পাখি খুঁজে বের করার নতুন একটি প্রচেষ্টা শুরু করতে যাচ্ছেন সারা বিশ্বের গবেষক, সংরক্ষণবাদী এবং পাখি পর্যবেক্ষকদের দল। কয়েক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেখা না গেলেও পাখিগুলোকে এখনও বিলুপ্ত হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়নি।
সংরক্ষণবাদী গোষ্ঠী রি:ওয়াইল্ড, আমেরিকান বার্ড কনজারভেন্সি এবং বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনালের যৌথ প্রচেষ্টায় হারিয়ে যাওয়া পাখি সনাক্ত করার কার্যক্রম চালানো হবে। সাথে থাকবে কর্নেল ল্যাব অফ অর্নিথোলজি এবং এর পাখি পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম ইবার্ডের ডেটা সমর্থন। ইবার্ডের ৭ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে, যারা ওয়েবসাইটে পাখি দেখার তথ্য জমা দিতে পারে।
হারিয়ে যাওয়া পাখিগুলোকে শেষবার কবে দেখা গেছে সেটিও নথিভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সিয়াউ স্কোপস জাতের ইন্দোনেশিয়ান পেঁচা। ১৮৬৬ সালের পর এই পেঁচা আর দেখা যায়নি। এছাড়াও, ২০১০ সালে কিউবায় শেষবারের মতো দেখতে পাওয়া কিউবান কাইট পাখিও রয়েছে এ তালিকায়।
তালিকাভুক্ত ১০টি পাখি মূলত বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশে বিস্তৃত। এরমধ্যে ৪টি এশিয়া, ২টি আফ্রিকা, ২টি দক্ষিণ আমেরিকা, ১টি উত্তর আমেরিকা এবং ১টি পাখি রয়েছে ওশেনিয়া থেকে। তালিকায় একমাত্র ভারতেরই একাধিক পাখির নাম রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে হিমালয় কোয়েল। ১৮৭৭ সালের পর দেখা যায়নি এই পাখি। আরও রয়েছে ২০০৯ সালে শেষবারের মতো দেখা জার্ডনস কোর্সার।
রি:ওয়াইল্ড-এর সংরক্ষণ কৌশলের সিনিয়র ডিরেক্টর বার্নি লং সিএনএনকে বলেন, "আমরা সত্যিই এই প্রজাতিগুলো খুঁজে পেতে চাই, এবং এগুলোকে সংরক্ষণ করতে চাই।"
"আমরা তালিকার ১০টি পাখিই খুঁজে পাবো বলে আশা করছি। তবে, এমনটি নাও হতে পারে। এমনও হতে পারে বেশ কিছু প্রজাতি খুঁজতে আমরা দেরি করে ফেলেছি। তবুও আমরা আশা করছি তাদের খুঁজে পাবো," যোগ করেন তিনি।
সামনের বছর দুটি অভিযানের মাধ্যমে শুরু হবে এই অনুসন্ধানকাজ। প্রথমে সিয়াউ স্কোপস-পেঁচা এবং মাদাগাস্কান ডাস্কি টেট্রাকাকে লক্ষ্য করে অনুসন্ধান শুরু হবে। ১৯৯৯ সালে শেষবারের মতো দেখা যায় মাদাগাস্কান ডাস্কি।
যদিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইসিইউএন) এই প্রজাতিগুলোকে বিপন্ন হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে, অনুসন্ধানকারী দল এখনও আশাবাদী। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ান ব্ল্যাক-ব্রোড ব্যাবলার খুঁজে পেতে আশাবাদী তারা। ১৮৪৮ সালের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবারও দেখা মেলে এই পাখির।
রি:ওয়াইল্ডের 'হারিয়া যাওয়া প্রজাতির অনুসন্ধান' নামক কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত 'হারিয়ে যাওয়া পাখির অনুসন্ধান'। ২০১৭ সালে হারিয়ে যাওয়া প্রজাতির অনুসন্ধান শুরু করে তারা। এ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ২৫টি প্রজাতির মধ্যে ৮টি প্রজাতি পুনঃআবিষ্কার করেছে তারা।
- সূত্র- সিএনএন