বিশ্বের যে ১০টি স্থানে মানুষের ভ্রমণ নিষিদ্ধ!
১৯৬৩ সাল পর্যন্তও ফ্রান্সের লাস্কু গুহায় থাকা প্রাচীন চিত্রকর্ম দেখতে সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতো। কিন্তু মানুষের নিঃশ্বাস থেকে আগত আর্দ্রতা এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের ফলে চিত্রকর্মগুলোর ক্ষতি হতে শুরু করে। বর্তমানে এই গুহায় মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। লাস্কু গুহার মতো আরো বেশকিছু স্থান রয়েছে এই পৃথিবীতে, যেখানে মানুষের ভ্রমণ নিষিদ্ধ। সেরকমই ১০টি জায়গা সম্পর্কে জানাবো আজ।
১. লাস্কু গুহা, ফ্রান্স
২. নর্থ সেনটিনেল দ্বীপ, আন্দামান দ্বীপ
এই দ্বীপে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যটকদের দেখলেই তাদের দিকে তীর ছুড়ে মারে।
৩. পভেগ্লিয়া দ্বীপ, ইতালি
একজন স্যাডিস্ট ব্যক্তি এই দ্বীপেই একটি মানসিক হাসপাতাল চালাতো!
৪. ভ্যাটিকান সিক্রেট আর্কাইভ
শুধুমাত্র গবেষক-বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর মানুষেরাই এখানে যেতে পারেন, তাদের মধ্যেও আছে কড়া নিয়মকানুন!
৫. স্নেক আইল্যান্ড, ব্রাজিল
এই দ্বীপে কেন যাওয়া নিষেধ তা ছবি দেখেই বুঝে যাওয়ার কথা পাঠকদের... কারণ সেখানে রয়েছে অগণিত বিষাক্ত সাপ!
৬. নর্থ ব্রাদার দ্বীপ, নিউইয়র্ক
এখানেও একসময় ছিল এক হাসপাতাল।
৭. রুম থার্টি নাইন, নর্থ কোরিয়া
দলত্যাগকারীদের মতে, এই রুম থার্টি নাইনের ভেতরেই 'জাল, অবৈধ অস্ত্র, এবং মাদক ব্যবসা এবং সাইবার ক্রাইম অপারেশনের' চক্রান্ত করেছে নেতারা।
৮. মেট্রো টু, মস্কো
স্টালিনের তৈরি গোপন আন্ডারগ্রাউন্ড শহর এবং এস্কেইপ রুট (যে গোপন পথ ধরে পালানো যায়)।
৯. সার্টসি দ্বীপ, আইসল্যান্ড
বিজ্ঞানীরা এই দ্বীপটিকে পর্যটকদের পরিদর্শন থেকে বিরত রাখতে চান যাতে তারা সেখানে জীবন কীভাবে বিবর্তিত হয় তা অধ্যয়ন করতে পারেন।
১০. চ্যাপেল অব দ্য আর্ক অব দ্য কভেন্যান্ট, ইথিওপিয়া
এই স্থানটিতে ইসরায়েলিদের স্বর্ণে আচ্ছাদিত পবিত্র, গোপন ভান্ডার রয়েছে বলে দাবি করা হয় এবং এখানে টেন কমান্ডমেন্টস এর দুটি পাথরের ফলক, 'অ্যারনস রড' এবং 'পট অব মানা' রয়েছে বলে গুজব রয়েছে।
সূত্র: বোয়িং ডট নেট