অবশেষে অভিযানে নেমেছে পুলিশ, রাজধানীর চার ক্লাবে মিলল মদ, টাকা ও জুয়ার সরঞ্জাম
জুয়া-ক্যাসিনো বন্ধে র্যাবের অভিযানের চারদিন পর অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে রাজধানীর চারটি ক্লাবে একযোগে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, মদ ও নগদ টাকা উদ্ধার করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ আলাদা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে মতিঝিলের দিলকুশা স্পোটিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, ভিক্টোরিয়া স্পোটিং ক্লাব এবং মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবে এ অভিযান চালায়।
অভিযান শেষে পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোনালিসা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযানের সময় আমরা ক্লাবগুলো দরজা বন্ধ অবস্থায় পাই, সেগুলো ভেঙে আমরা ভেতরে প্রবেশ করি। ভেতরে ক্লাবগুলোর মালিক বা কর্মকর্তা কাউকেই আমরা পাইনি।”
মতিঝিল জোনের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, “ক্লাবগুলোতে সমসময়ই জুয়ার আড্ডা বসে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সেখানে অভিযান চালাই। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অভিযানে ভিক্টোরিয়া ক্লাব থেকে জুয়ার নয়টি বোর্ড, এক লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ তাস, জুয়ায় ব্যবহৃত চিপস ও মদ পাওয়া গেছে।
মোহামেডানে পাওয়া গেছে দুটো রুলেট টেবিল, নয়টি বোর্ড, বিপুল পরিমান কার্ড, ১১টি ওয়্যারলেস সেট ও ১০টি বিভিন্ন ধরনের চাকু।
আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবেও বাকারা ও রুলেট টেবিলসহ বিভিন্ন জুয়ার সরঞ্জাম পেয়েছে পুলিশ।
গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের কার্যানির্বাহী কমিটির বৈঠকে দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যুবলীগ নেতাদের ‘৬০ টি ক্যাসিনো’ নিয়ন্ত্রণের খবর আসে গণমাধ্যমে।
গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের এই স্পোটিং ক্লাবগুলোতে খেলাধুলার চেয়ে জুয়া ও ক্যাসিনোর কার্যক্রমই বেশী হয়।
এরপরই ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাবে শুরু হয় র্যাবের অভিযান। রোববার এসব ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ।