অবৈধ মোবাইল ফোন? এখনই চিন্তার কারণ নেই
বিদেশ বা কালোবাজার থেকে কেনা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যবহারকারীদের আর চিন্তার কারণ নেই।
কারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে সমস্ত অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছে সরকার। অর্থাৎ অবৈধ কোনো মোবাইল ফোনই বন্ধ হচ্ছে না।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা আগে যে ডিভাইস রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি চালু করেছিলাম তাতে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। সে কারণে আমরা স্থানীয় সিম ব্যবহার করা যেকোনো মোবাইল ডিভাইস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
এর আগে সরকার ঘোষণা দিয়েছিল যে, অক্টোবর থেকে সমস্ত অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়া হবে। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সিস্টেম স্থাপনের জন্য সরকার ২৯ দশমিক ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কথা ছিল, এই সিস্টেম অবৈধ ফোনে সিম কার্ডের ব্যবহার বন্ধ রাখবে।
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেন।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, 'জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইন প্রয়োগকারী বিভাগ ডিভাইসগুলোর বৈধতার ব্যাপারটি দেখবে।'
এখন থেকে কোনো গ্রাহক যদি ফোন কেনেন এবং ফোনটি যদি বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে আসে, তাহলে গ্রাহক ওই মুঠোফোন চালু করার সঙ্গে সঙ্গে সেটি এনইআইআরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
এর আগে গত ১ জুলাই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) পরীক্ষামূলকভাবে তিন মাসের জন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু করে।
সে সময়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ১ অক্টোবর থেকে এনইআইআরের অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করার কথা ছিল।
আরও বলা হয়েছিল যে, এনইআইআর দেশে মোবাইল ফোন শিল্পের সম্প্রসারণে সহায়ক হবে এবং এর ফলে এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ বাড়বে।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৩ কোটি অবৈধ মুঠোফোন রয়েছে। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
একজন বৈধ আমদানিকারকের কাছ থেকে সরকার আমদানি শুল্ক হিসেবে প্রতিটি মোবাইল ফোনের বিপরীতে ৩ হাজার টাকা পায়। কিন্তু অবৈধভাবে কোনো মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি বা কেনা হলে সরকার রাজস্ব হারায়।