আজ থেকে কুমিল্লা-সিলেট রুটে বাস চলাচল বন্ধ
মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ। সোমবার দুপুরে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুরে দি কুমিল্লা মোটর অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। একটি বাস কুমিল্লা থেকে সিলেট রুটে যাত্রীসেবা দেওয়ার কারণে ওই রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে শ্রমিক মালিকদের একাংশ বলছেন, তাদেরকে কুমিল্লা থেকে চালকরা জানিয়েছেন বাস বন্ধ থাকবে। আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়নি।
পরিবহন মালিক গাজী শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন পরিবহন মালিক ও দি কুমিল্লা মোটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, সহসম্পাদক কামাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক খলিলুর রহমান, শ্রমিকনেতা শহিদুর রহমান, মফিজুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান।
তারা জানান, কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের সব বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুটি পর্যন্ত সুগন্ধা পরিবহনের বাস চলাচলও বন্ধ থাকবে। কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট ও সুগন্ধা পরিবহনের বাস চলাচলও বন্ধ থাকবে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, রয়েল সুপার সার্ভিস চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটে বাস চলাচলের অনুমতি নিয়ে বাস নামায়। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের জহির খান নামের এক পরিবহন ব্যবসায়ী ওই বাস নামান। কিন্তু বাস চলাচলের নীতিমালা লঙ্ঘন করে রয়েল সুপার সার্ভিস চট্টগ্রাম থেকে বাস না ছেড়ে কুমিল্লার ময়নামতি থেকে সিলেটের উদ্দেশে বাস ছাড়ে। এতে করে কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট ও সুগন্ধা পরিবহন যাত্রীসংকটে পড়বে।
দি কুমিল্লা মোটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রয়েল সার্ভিসের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ না হলে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা নগরীর চারটি বাস টার্মিনাল থেকে সবধরনের এবং সকল রুটের যাত্রী পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
পরিবহন ব্যবসায়ী জহির খান জানান, প্রথমে আমাদের কুমিল্লা-সিলেট রুটে বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দি কুমিল্লা মোটর অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তির কারণে তা স্থগিত করা হয়।
বিআরটিএ কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয় টার্মিনাল টু টার্মিনালে। ওই পরিবহন সিলেটে চলতে পারবে সমস্যা নেই। তবে তা শাসনগাছা কিংবা জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে চলতে হবে। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও হাইওয়ে পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে সমাধান করবো।
কুমিল্লার মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।