ইভ্যালির রাসেলের নামে এবার চেক জালিয়াতির মামলা
অর্থ আত্মসাতের মামলায় পুলিশের রিমান্ডে থাকা ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের নামে যশোরে এবার চেক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোর জুডিশিয়াল আমলি আদালত (চৌগাছা অঞ্চলে) এ মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী জেলার চৌগাছা উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে তরফদার মো. মোশাহেদুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইভ্যালির এমডি পণ্য দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পণ্য না দিয়ে পরবর্তীতে ২৫ জুলাই তরফদার মো. মোশাহেদুর রহমানকে ন্যাশনাল ব্যাংকের ১ লাখ ৭৭ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। তবে ব্যাংকে একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়।
মামলার আইনজীবী এমএম জয়নাল আবেদীন জানান, "আদালত ১৩৮/১৪০ ধারা অপরাধ আমলে নিয়ে মামলটি গ্রহণ করে আসামির প্রতি সমন জারি করে। আগামী ৩ নভেম্বর আসামিকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।"
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল নামে এক ব্যক্তি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে মামলা করেন।
মামলায় জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেন, গত ২৯ মে এক লাখ ৩০ হাজার ১৪০ টাকায় ভারতীয় বাজাজ কোম্পানির একটি পালসার মোটরসাইকেলের অর্ডার করেন তিনি। এরপর কয়েকটি কিস্তিতে পুরো টাকা পরিশোধও করেন। টাকা পরিশোধের ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে পণ্যটি ডেলিভারি দেয়ার কথা ছিল। সাড়ে তিন মাসেও মোটরসাইকেল পাননি তিনি।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী এক গ্রাহকের মামলায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকালে মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং তার স্বামী ও কোম্পানির সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা করেন আরেক গ্রাহক।
ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণার মামলায় আজ মঙ্গলবার রাসেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে শামীমা নাসরিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।