ওসির হাতে লাঞ্ছনার শিকার সেই এএসআইকে প্রত্যাহার
বরগুনার বামনায় শত শত মানুষের সামনে লাঞ্ছনার শিকার ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তাকে বামনা থানা থেকে সরিয়ে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা ভুক্তভোগী ওই এএসআইকে একটি সুন্দর পরিবেশে কাজ করার সুযোগ করে দিতে চাই। তাই তাকে বামনা থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার রাত এগারোটার দিকে ভুক্তভোগী ওই এএসআইকে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার জন্য জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর পরই পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার জন্য দাপ্তরিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে নিজের ব্যাগ গুছিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বলেন, ''গতকাল রাতে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার জন্য আমাকে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য আমি পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে কেন বা কি কারণে আমাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে তা আমি এখনো অবগত নই।''
এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ লাইনের রেসিডেন্সিয়াল ইনচার্জ (আর আই) মোজাম্মেল হক বলেন, ''বামনার অনাকাক্সিক্ষত সেই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই এএসআইকে বরগুনার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে তিনি এখনো পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হননি। কেন বা কী কারণে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে তা আমি অবগত নই।''
এ বিষয়ে বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা ভুক্তভোগী ওই এএসআইকে একটি সুন্দর পরিবেশে কাজ করার সুযোগ করে দিতে চাই। এই মুহূর্তে তার বামনায় কাজ করার অনুকূল পরিবেশ নেই। তাই তাকে আমরা বামনা থানা থেকে সরিয়ে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছি।
''খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাকে আবারও অন্যত্র পদায়ন করা হবে। এই পদায়নে যতটুকু সময় লাগবে ততক্ষণ তিনি বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন'', যোগ করেন তিনি।
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মৃত্যুর পর গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি শাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে শনিবার মানববন্ধন পণ্ড করার সময় কর্তব্যরত এই এএসআইকে চড় মাররেন বরগুনার বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন। চড় মামার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বামনা থানার ওসির সমালোচনা শুরু হয়।