করোনার উপসর্গ নিয়ে খুলনায় এক রোগীর মৃত্যু
মহামারি করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
৪৫ বছর বয়সী ওই রোগী জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুর দেড়টার সময় তার মৃত্যু হয়।
তিনি করোনায় আক্রান্ত রোগী ছিলেন বলে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (মেডিসিন) ও করোনা ম্যানেজমেন্টের ফোকাল পার্সন ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হন ওই রোগী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ওই রোগীর থাইরয়েড সার্জারি করা হয়। তিনি ঐ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। বুধবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সময় তিনি জ্বর ও শাসকষ্টের কথা জানিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বায়োপসি রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, ওই রোগীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী তথ্য নেন। এই হাসপাতালে আসার আগে ওই রোগী ঢাকার মডার্ন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। একই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত একজন রোগী মারা গিয়েছিল। কিন্তু ওই রোগী এখানে ভর্তির সময় সেই তথ্য গোপন করেন। তা না হলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হতো।
ডা. মোর্শেদ জানান, ওই রোগীকে মডার্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছিল। কিন্তু তিনি তা মানেননি এবং তথ্য গোপন করে এখানে ভর্তি হন। তার কারণে ঝুঁকি বেড়ে গেলো।
হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, ওই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া ১৫/২০ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। ৯০ শতাংশ সন্দেহ ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।