করোনা আক্রান্ত বেড়ে ২০, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
বাংলাদেশে আরো তিনজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যাদের মধ্যে সত্তরোর্ধ্ব একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শুক্রবার আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই তিনজনকে নিয়ে বাংলাদেশে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কারও মৃত্যুর তথ্য আসেনি; এ পর্যন্ত বাংলাদেশে একজনেরই মৃত্যু হয়েছে।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আরও জানান, নতুন আক্রান্তদের একজন নারী ও অন্য দুজন পুরুষ। নতুন আক্রান্ত সবাই আলাদা পরিবারের। আক্রান্ত নারীর বয়স ৩৮ বছর ও পুরুষের বয়স ৩০। অন্যজনের বয়স ৭৩ বছর। বয়ষ্ক ওই ব্যক্তিটি এই মুহূর্তে আইসিইউতে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র জানান, জানুয়ারির ২১ তারিখ থেকে ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৪ জন যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এরমধ্যে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং এর সংখ্যা ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় এই তিন বিমানবন্দরে ৩ হাজার ১৬৯ জন যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে এ পর্যন্ত স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৮ হাজার ৪৯৬ জন।
এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করা হয় ২১১ জনকে। তবে একই সময়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বেনাপোল রেল স্টেশনে কোনো যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়নি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিন মেনে চলার আহ্বান জানান অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, "বিদেশ থেকে আগতদের ১৪ দিন বাসার একটি নির্দিষ্ট কক্ষে অবস্থান করতে হবে। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এমনকি বাড়ির লোকের সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিষপত্র অন্য কারও ব্যবহার করা যাবে না। এসব জিনিস আলাদা করে পরিষ্কার করতে হবে।"
পরামর্শ না মানলে সরকার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলে জানান তিনি।