করোনা সংকটে নারীদের প্রতি যত্নবান হতে হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি পরিবারের নারীদের প্রতি যত্নবান হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত-মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ গুরুত্বরোপের কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বেশিরভাগ সংসারে নারীই প্রাথমিক এবং একমাত্র সেবাদানকারী। যে কোন সংকটে তার কাজের চাপ এবং মানসিক চাপ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা পরিহার করুন। পরিবারে নারীদের প্রতি যত্নবান ও সহানুভূতিশীল হোন।'
এছাড়াও পরিবারের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার বিষয়টি মানুষের মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, 'শিশুর সম্মিলিত মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। এই সময় বাড়ির শিশু এবং বয়ষ্কদের বিশেষভাবে যত্ন নিন।'
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামাররি কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা আমাদের সকলের মনের ওপরেই অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে। এর ফলে অনেকেরই নিয়মিত ঘুম ব্যাহত হচ্ছে।'
মহামারির সময়টিতে পর্যাপ্ত ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এটা আমাদের মন ও শরীর দুটোই ভাল রাখবে।'
করোনা মহামারিকালে সকলকে মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকার আহ্বান জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, 'নিজে কিভাবে ভাল থাকবেন সে পথ খুঁজে নিতে পারেন নানারকম সৃষ্টিশীল ও ভালো কাজের মধ্যে।'
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ হাজার ৯৯৭ জনে।
এদিকে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জন। তাদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ জন।
পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২.৩৩ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.১৯ শতাংশ।
নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২১ এবং নারী আটজন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৫ শতাংশ। আর মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৭৯.৪৭ শতাংশ এবং নারী ২০.৫৩ শতাংশ।