ক্যাম্পেইনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সব কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ক্যাম্পেইনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সারা দেশের সব কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। সোমবার বিকেলে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, 'মঙ্গলবার আমরা ক্যাম্পেইনের আওতায় ৭৫ লাখ টিকা দেব বলে ঠিক করেছি এবং নিয়মিত টিকাদান আরও ৫ লাখ মিলিয়ে এদিন ৮০ লাখ টিকা আমরা দিতে পারব। প্রতিটি ইপিআই সেন্টার থেকে যা মালামাল দরকার তা আমরা সরবরাহ করেছি। আজ রাত এবং কাল সকাল পর্যন্ত সরবরাহ চলবে।'
মহাপরিচালক বলেন, 'আগামীকাল (মঙ্গলবার) যে ম্যাস ভ্যাকসিনেশন হবে, সারা দেশে কোভিড-১৯ এই ক্যাম্পেইনে আমরা শুধু প্রথম ডোজের টিকা দেবো এবং একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেবো। ক্যাম্পেইন শুরু হবে সকাল ৯টায়। আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকাদান চলমান থাকবে। শেষ টিকা প্রদানের পর আমাদের টিম এক ঘণ্টা অবস্থান করবে। স্থানীয়ভাবে টিকাদানের সময় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। কোনোভাবেই আমাদের ইপিআই সেশনের টিকা দেওয়া বন্ধ রাখা যাবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'এই ক্যাম্পেইনে আগে থেকে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী ২৫ বছর বয়সী বা তদুর্ধ্ব তাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে টিকা দেবো। আমরা চল্লিশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেবো। বয়স্ক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আমরা বিবেচনায় রাখবো। প্রেগনেন্ট ও ল্যাকটেটিং মা এই ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা পাবে না।'
আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন: ৮০ লাখ নাগরিককে করোনার ভ্যাকসিন দেবে বাংলাদেশ
মহাপরিচালক বলেন, 'ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকাকার্ড সঙ্গে আনতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে কোনো একটি ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের তিনটি বুথের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সারা দেশে আগে থেকে যেসব কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলছিল সেগুলো অব্যাহত থাকবে।
অপেক্ষমান বয়স্ক টিকাগ্রহীতার বসার ব্যবস্থা করতে হবে। টিকা নেওয়ার পরে প্রত্যেকে অবশ্যই আধাঘণ্টা অপেক্ষা করবেন। নারীদের জন্য পর্দা ঘেরা জায়গায় টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, 'পৌরসভা পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ড ও সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ হাজার বা তদুর্ধ্ব মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য আমরা লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছি। ক্ষেত্র বিশেষে স্থানীয় প্রশাসন এটি কমাতে বা বাড়াতে পারবে।'