খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ সংকট
দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে গড়ে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে মিয়ানমারের পেঁয়াজ রয়েছে বেশি। এ ছাড়া কিছু মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজও বাজার দেখা গেছে।
আড়তদাররা জানিয়েছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর থেকে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। ধীরে ধীরে পেঁয়াজের সংকট বাড়ছে।
খাতুনগঞ্জের গ্রামীণ বাণিজ্যালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী বালাই কুমার পোদ্দার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “ভারত রপ্তানি বন্ধের পর যা পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আমরা বিক্রির জন্য পেঁয়াজ পাচ্ছি না।”
খুচরা পণ্যের বাজারের পেয়াঁজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জ হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস।
তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “সাধারণত প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি পেঁয়াজের গাড়ি বাজারে ঢুকে। ভারত থেকে আমদানি বন্ধের পর সেটি কয়েকগুণ কমে গেছে। বৃহস্পতিবার মাত্র ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি বাজারে ঢুকেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার, মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সেটি পর্যাপ্ত নয়। ধীরে ধীরে পেঁয়াজের সংকট আরও বাড়ছে। ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা না তুললে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।”
উল্লেখ্য, খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এখানকার অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। এ বাজার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা পাইকারি ধরে পেঁয়াজ ক্রয় করে।