খুলনা বিভাগের ১১৯টি ইউপি নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে খুলনা বিভাগের ১১৯ ইউনিয়নের ভোট স্থগিত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বাকি প্রথম ধাপের ইউপি ও শূন্য আসনের ভোটের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসে এ সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন।
খুলনা বিভাগের যেসব ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল- খুলনা জেলার কয়রার আমাদি, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা, উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী। দাকোপের পানখালী, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, বাজুয়া ও বানিশান্তা। বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও আমিরপুর। দিঘলিয়ার গাজীরহাট, বারাকপুর, দিঘলিয়া, সেনহাটা, আড়ংঘাটা ও যোগীপুল। পাইকগাছার ষোলাদানা, রাড়ুলী, গড়ইখালী, চাঁদখালী, দেলুটি, লতা, হরিঢালী ও কপিলমুনি।
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটের বেতাগা, লখপুর, পিলজংগ, ফকিরহাট, বাহিরদিয়া মানসা, নলধা মৌভোগ ও শুভদিয়া। মোল্লাহাটের উদয়পুর, চুনখোলা, কোদালিয়া, গাওলা, কুলিয়া ও আটজুড়ি। চিতলমারীর বড়বাড়ীয়া, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী, কলাতলা, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর। কচুয়ার গজালিয়া, ধোপাখালী, মঘিয়া, কচুয়া, গোপালপুর, রাড়ীপাড়া, বাধাল। রামপালের গৌরম্ভা, বাইনতলা, হুড়কা, মল্লিকের বেড়, বাঁশতলী, উজলপুর, রামপাল, রাজনগর, পেড়িখালী ও ভোজপাতিয়া। মোংলার চাঁদপাই, বুড়িরডাংগা, চিলা, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও সুন্দরবন। মোরেলগঞ্জের প করন, দৈবজ্ঞহাটী, চিংড়াখালী, হোগলাপাশা, বনগ্রাম, বলইবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, বহরবুনিয়া, নিশানবাড়ীয়া, মোরেলগঞ্জ, খাউলিয়া, তেলিগাতী, পুটিখালী, রামচন্দ্রপুর, জিউধরা ও বারইখালী। শরণখোলার ধানসাগর, খোন্তাকাটা, রায়েন্দা ও সাউথখালী।
বাগেরহাট সদরের বারুইপাড়া, বেতরতা, বিষ্ণুপুর, ডেমা, কাড়াপাড়া, খানপুর ও রাখালগাছি। সাতক্ষীরা কলারোয়ার কয়লা, হেলাতলা, যুগীখালী, জয়নগর, জালালাবাদ, লাঙ্গলঝাড়া, কেঁড়াগাছি, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর ও দেয়াড়া। তালার ধানদিয়া, তেঁতুলিয়া, তালা, ইসলামকাটি, মাগুরা, খেসরা, জালালপুর, খলিলনগর, নগরঘাটা, সরুলিয়া ও খলিষখালী।
এর আগে করোনার কারণে ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনায় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে কমিশন।
দেশে করোনা শনাক্তের হার ১০ শতাংশের ওপরে। সীমান্তের জেলাগুলোয় সংক্রমণ হার ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পাঁচ শর্ত দিয়ে দেশব্যাপী বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় চলছে লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধ।
এর মধ্যেই ২১ জুন ৩৭১টি ইউপি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। যার মধ্যে উচ্চ সংক্রমিত ৬ জেলায় দেড় শতাধিক ইউনিয়ন রয়েছে। এ অবস্থায় এখনই ভোট না করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার। ভোটের তারিখ পেছানোর সুপারিশ করে ৫ জুন ইসিকে চিঠি দেয় আইইডিসিআরও।
খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী জানান, 'নির্বাচন স্থগিতের ব্যাপারে আমরা এখনো কিছু জানি না। আমরা নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর এ বিষয়ে আপনাদেরকে জানাতে পারব'।