চট্টগ্রামের বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যা সংকট
কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বাড়ার সঙ্গে চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যার সংকট দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বিশেষায়িত জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের একটি বেডও খালি নেই বলে জানিয়েছেন জেলাটির সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বী।
মা ও শিশু হাসপাতালের চিত্রও একইরকম। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউ শয্যা খালি আছে মাত্র তিনটি। তবে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি আছে বলেন জানান এই কর্মকর্তা।
জেলাটিতে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ১১ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে ১৪৬৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ২১.১৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন বিশ্লেষন করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ডা. শেখ ফজলে রাব্বী জানান, অন্যান্য জেলার মতো চট্টগ্রামেও, বিশেষ করে জেলাটির উত্তরাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, "মূলত উত্তর চট্টগ্রামের উপজেলাগুলো গুলো মহানগরের সাথে লাগোয়া হওয়ায় এখানকার বাসিন্দাদের নগরে নিয়মিত যাতায়াত আছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকেও এসব এলাকায় প্রচুর লোকজন কাজ করতে আসে। এসব কারণে ওই এলাকায় পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে।"
এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১৫১ জনের করোনা সংক্রমন শনাক্ত হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়। সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ফটিকছড়িতে ইতোমধ্যে লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রতিবেদন বিশ্লেষন করে দেখা গেছে, ১৯ জুন থেকে গত সাত দিনে চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৯১৩ জনের নমুনা পরিক্ষা করে ১ হাজার ৪৬৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে নগরের বাসিন্দা ৮৪৫ জন, বাকি ৫২১ জন ১৪ উপজেলার বাসিন্দা। সে হিসেবে শনাক্ত হওয়া রোগিদের ৫৮ শতাংশই নগরের বাসিন্দা। ১৪ উপজেলায় শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৪৩ শতাংশই ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ১৫৪ জন। শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৪৪ হাজার ৭৮৭ জন ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১২ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছেন। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৬৭১ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।