চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কাল জাপানি গাড়ি সহ নিলামে উঠছে ৬২ লট পণ্য
দেশের বৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) প্রভোক্স মডেলের গাড়িসহ ৬২ লট পণ্য নিলামে উঠছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখা এবং ঢাকা ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ে একযোগে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
নিলামে তোলা অন্যান্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে ফেব্রিক্স, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, তৈরী পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, ওয়াশিং ক্যামিকেল, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, টেক্সটাইল পণ্য, ড্রাগন ফল সহ নানা পণ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার আল আমিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বন্দরে জমে থাকা নিলাম পণ্যের জট কমাতে প্রতি মাসেই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। তার ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে চলতি মাসের ৮ জুলাই ৫৬ লট পণ্য নিয়ে আরো একটি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হওয়া পণ্য বিভিন্ন কারণে বন্দর থেকে খালাস নেননা। অন্যদিকে চোরাচালান, জালিয়াতি, এক পণ্য আমদানির ঘোষণায় ভিন্ন পণ্য আমদানি, শুল্ক ফাঁকি সহ বিভিন্ন কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য খালাস স্থগিত করে। নিয়মনুযায়ী তাদের ৩০ দিনের মধ্যে এসব পণ্য খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ টিবিএসকে বলেন, নিলামের জন্য গত ২৫ জুলাই দরপত্র আহবান করা হয়। নিলামে অংশগ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দপ্তর এবং যুগ্ম কমিশনার (সদর), শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) কার্যালয়ে নির্ধারিত টেন্ডার বক্স রয়েছে। ২৯ জুলাই দুপুর দুইটা পর্যন্ত দরপত্র প্রদান করতে পারবে নিলামে অংশগ্রহনকারীরা।
তিনি আারো বলেন, এবারের নিলামে ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৯ টাকা মূল্যের প্রভোক্স মডেলের একটি জাপানি গাড়ি রয়েছে। এছাড়া ২৬১ রোল ফেব্রিক্স পণ্য, ১ হাজার ১২২ কনটেইনার প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, ১৯৮ বক্স এক্সেসরিস (কাঁচামাল), ৪ কনটেইনার সিকিউরিটি ট্যাগ, ১৯ কেজি ফিনিশিং এজেন্ট, ২৭০ কেজি হাইড্রোক্লোরিক এসিড, ১০ পিস ব্যাটারি লিড, ৭ কেস ওয়াশিং কেমিক্যাল, ১৬২ কেজি প্লাস্টিক বোতল, ৬০ কেজি গার্মেন্টস সিকিউরিটি ট্যাগ, ৩ ড্রাম ডায়েসিড (এসিড পণ্য), ৫২৫ কেজি মাল্টিভিটামিন পাউডার, ৯১ কেজি পলেস্তার, ১৫২ কেজি সালফিউরিক এসিড, ৩৪৮ কেজি বিএমডবিøউ ম্যাগাজিন, ২ হাজার ১০ কেজি টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ৭২৪ জোড়া লেদার ফুট ওয়্যার, ৭ হাজার ৮শ' লিটার ওলিভ ওয়েল, ২৬ হাজার ৬শ' কেজি ব্যাটারি এক্সেসরিস, ১০ হাজার ৯০ পিস টাইলস, ২ হাজার ১০৫ প্যাকেট বেবি ডায়াপার, ৩৭৬ প্যাকেট ফুড স্টাফ, ৫০২ বেল ওয়েস্ট পেপার, ১৫ হাজার কেজি ড্রাগণ ফল, ৯১ পিস লোহার পাইপ, ১০০ কনটেইনার সুইচ সকেট, ২৫০ কনটেইনার হান্টিং জ্যাকেট রয়েছে।