চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ, সরানো হয়েছে জাহাজ
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি এবং বর্হিনোঙ্গরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেটি থেকে সকল জাহাজ নিরাপদে বর্হিনোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্হিনোঙ্গরে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাসকৃত মাদার ভ্যাসেলগুলোকে (বড় জাহাজ) পাঠানো হয়েছে কুতুবদিয়া-কক্সবাজার উপকূলে। এছাড়া লাইটার জাহাজ এবং বন্দর চ্যানেলের সব ছোট ছোট নৌযানকে শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের উপ-সংরক্ষণ ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ অ্যালার্ট ৩ জারি করে। এর আওতায় ইয়ার্ডে কন্টেইনার খালাসরত সকল জাহাজকে বর্হিনোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই জাহাজ শুণ্য হয়েছে বন্দর। বর্হিনোঙ্গরে অবস্থানরত সকল জাহাজকে কুতুবদিয়া-কক্সবাজার উপকূলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বন্দর চ্যানেলের সব ছোট ছোট নৌযানকে শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, সাগর উত্তাল হওয়ায় সোমবার থেকে বর্হিনোঙ্গরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে অবস্থানরত লাইটার জাহাজগুলোকে ফেরত আনা হয়। মঙ্গলবার সকালে জেটিতেও পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে জেটি এবং বর্হিনোঙ্গরে পণ্য খালাস পুরোপুরি বন্ধ। তবে ইয়ার্ডে পণ্য ডেলিভারি এবং বেসরকারি ডিপোতে কন্টেইনার পাঠানোর কাজ চলমান আছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পূণর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ভিত্তিতে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা 'অ্যালার্ট-১' জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া বিপদ সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য 'অ্যালার্ট-৩' জারি করা হয়। মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা 'অ্যালার্ট-৪' জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।