চলমান লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশে চলমান লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম।
শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "লকডাউনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কথা বলছে। তবে আমরা লকডাউন বজায় রাখতে বলেছি। লকডাউনে আমাদের টিকাদানে কোন সমস্যা হবেনা। সব খুলে দিলে সংক্রমণ আরো বাড়বে। সংক্রমণ বাড়লে তো আমরা রোগীদের হাসপাতালে জায়গা দিতে পারবোনা"।
মহাপরিচালক বলেন, "মাসে এক কোটি টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। টিকার প্রাপ্যতা অনুযায়ী প্রতি মুহূর্তে পরিকল্পনাটি পরিবর্তন করা লাগতে পারে। আমাদের লক্ষ্য অধিক টিকা দেয়া"।
মহাপরিচালক আরও জানান, এখন ক্যাম্পেইনে টিকাদানের বিষয়ে প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ চলছে। সারাদেশে বিভিন্ন ব্লক করে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে অনলাইনে প্রশিক্ষণ চলছে। আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ৬ তারিখ স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত আলোচনা করবেন গণটিকাদান ক্যাম্পেইন নিয়ে।
গ্রাম পর্যায়ে এনআইডি দিয়ে টিকাদানে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হতে পারে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, "বিশৃঙ্খলা কিছুটা হতেই পারে। আমরা সেজন্য স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়েছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে এ বিষয়ে অনলাইনে মিটিং করবেন"।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে দেশব্যাপী ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। এ লকডাউন বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত।
আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যতীত এবারের সর্বাত্মক লকডাউনেও দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বন্ধ রয়েছে সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন, অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল। বন্ধ আছে সকল শপিংমল এবং মার্কেটও।