চীনা ডোজ আসার পর পুনরায় শুরু হবে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন
দেশে চীনা ভ্যাকসিন আসার পর কোভিড-১৯ টিকাগ্রহণের নতুন রেজিস্ট্রেশন আবারও চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দিতে চায় সরকার, আর এজন্য ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাণনাশী এই ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে ওইসব এলাকায় কঠোর ব্যবস্থা আরোপের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রতিবেশী ভারতের নিকটবর্তী সীমান্ত এলাকাগুলোতে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে, ভারত থেকে সময়মতো চালান আসতে দেরি হওয়ায় দেশে ভ্যাকসিন সংকট দেখা দিলে এ মাসের শুরুতে রেজিস্ট্রেশন কর্মসূচি স্থগিত করে স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়ে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত পেয়েছে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ। অন্যদিকে, ভারত সরকার বাংলাদেশের জনগণকে ৩২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে।
এরপর থেকে ভ্যাকসিনের জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
এদিকে, ইতোমধ্যেই চীনা ভ্যাকসিন সিনোফার্ম এবং রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি এবং জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
গত ১২ মে চীন সরকারের উপহার হিসেবে ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনের একটি চালান ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
এছাড়া, ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের একটি চালান আজ রাতে দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।