জয়পুরহাটে মধ্যরাতের ঘূর্ণিঝড়, ৪ জনের মুত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ গ্রাম
মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে জয়পুরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষেতলাল উপজেলায় দুই ভাইসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক হিসাবে বলা হয়েছে, ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১০ কোটি টাকার।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝড়ে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা। ঝড়ে জয়পুরহাটে ৩ উপজেলায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অন্তত ৪০টি গ্রাম।
উপজেলা প্রশাসন নিশ্চিত করেছে ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামে দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেছেন জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (২৮) ও তার দুই ছেলে নেওয়াজ (৮) আর নিয়ামুল (৩)। এ ছাড়া কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে মারা গেছেন মৃত সালামত আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম (৭০)। তিনিও মারা গেছেন দেয়াল চাপা পড়ে।
জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার পর জেলায় প্রবল বেগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে প্রানহানির পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক গাছ পড়ে গেছে। সদর, কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলায় অন্তত ৪০টি গ্রাম বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুটি পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক গ্রাম। ক্ষেতলালে একটি মুরগির সেড ভেঙ্গে যাওয়ায় মারা গেছে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের ৪০ হাজার মুরগি- এ দাবি প্রতিষ্ঠানটির মালিক হাইকুল ইসলামের।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরাফাত রহমান জানান, করিমপুর ত্রিমুহনী এলাকায় মা রেজিয়া অ্যাগ্রো লিমিটেড সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেছেন, এতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৫ কোটি টাকা। তবে মিল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের ক্ষতির পরিমাণ ২০ কোটি টাকা।