ঢাকা ক্লাবসহ ১৩ অভিজাত ক্লাবে হাউজি আপাতত চলবে
সারা দেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেননি আপিল বিভাগ। তবে অভিজাত ১৩ ক্লাবের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী এই ক্লাবগুলোতে ইনডোর গেমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারবে না বলে আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছেন।
ঢাকা ও উত্তরা ক্লাবসহ অভিজাত ক্লাবগুলোর আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ক্লাবগুলোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ১৩টি ক্লাব। অন্য ক্লাবগুলো হলো- গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।
২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম, যেমন কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা- যা টাকা বা অন্য কোনো কিছুর বিনিময়ে হয়ে থাকে, তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চান আদালত।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ বলেছিলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী যেকোনো প্রকার জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।