দেশে এসে পৌঁছেছে ৪৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা
দেশে এসে পোঁছেছে করোনার প্রায় ৪৫ লাখ ডোজ টিকা। এর মধ্যে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ এবং সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে।
কোভ্যাক্সের আওতায় ওয়াশিংটনের উপহার দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানার ১২ লাখ ডোজ টিকার প্রথম চালান শুক্রবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
একটি ফ্লাইটে রাত সাড়ে এগারটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের কাছ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকার এই চালান গ্রহন করেন।
আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে এই টিকার বাকি ১২ লাখ ডোজের দ্বিতীয় চালান এসে পোঁছে।
এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ টিকা বহনকারী একটি বিমান অবতরণ করে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে সিনোফার্মের ১০ লাখ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ২ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা বরাদ্দ করে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মডার্নার এই ২৫ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে। খবর বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস)।
এছাড়া, চীন সরকারের কাছ থেকে সিনোফার্মের কোভিড টিকা কিনেছে বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে গত মে-জুনে উপহার হিসেবে চীন সরকারের দেয়া সিনোফার্ম টিকার ১১ লাখ ডোজ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ যখন তার বিপুল সংখ্যক জনগণকে টিকা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে, টিকার এ চালান এ সময় দেশের মানুষের জন্য একটা বড় সুসংবাদ।
বিভিন্ন মাধ্যমে খুব শিগগিরই টিকা পাওয়া যাবে এবং কোন ঘাটতি থাকবে না বলে গত বৃহস্পতিবার আশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬-৮ কোটি ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা মজুদ আছে জানার সঙ্গে সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২০ লাখ ডোজ পাঠানোর জন্য ঢাকা অনুরোধ করেছিল।
বাসস জানায়, বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়ও টিকা চেয়ে হোয়াইট হাউজের কাছে আবেদন করেছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চীন থেকে দেড় কোটি ও রাশিয়া থেকে স্পুটনিকের ৫০ লাখ ডোজ টিকা আনার চেষ্ট করছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি ভারতের কাছ থেকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশ প্রথম ২০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিল।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে।