দেশে করোনা আক্রান্তদের একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন
বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আরেকজন সম্পূর্ণ সুস্থ তবে তার বাড়িতে কয়েকজন সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকায় তিনি স্বেচ্ছায় হাসপাতালে আছেন।
এছাড়া বাকি একজনের এখনও করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসেনি।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী দুইবার পরীক্ষা করতে হয়। সেক্ষেত্রে তাদের পরীক্ষার ফলাফল যদি নেগেটিভ পাওয়া যায় তবে তাদের সুস্থ বলা হয়ে থাকে।
যে দুইজন আমাদের এখানে সুস্থ হয়েছেন তাদের দুইজনেরই সেই দুইটি পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ তারা এখন আর করোনাভাইরাস আক্রান্ত নন। তাদের দুইজনের একজন ইতোমধ্যেই বাড়ি ফিরে গেছেন। অপরজন এখনও স্বেচ্ছায় হাসপাতালে আছেন কারণ তার বাড়িতে কয়েকজন সেলফ কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
আরেকজন করোনাভাইরাস আক্রান্তের এখনো পরীক্ষা বাকি আছে। তাই তাকে এখনো করোনাভাইরাস মুক্ত বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ জনের। এ নিয়ে মোট ১৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বাংলাদেশে। তবে তাদের কারো শরীরে করোনা ধরা পড়েনি।
বাংলাদেশে নতুন করে আর কোনো করোনা রোগী ধরা পড়েনি। সংবাদ সম্মেলনে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসলে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। এটি মেনে চলতে পরিবার ও প্রতিবেশী এবং বন্ধুদের সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এটি মেনে না চললে সরকার দেশের বিদ্যমান আইনে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
আইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীনের পরিস্থিতি অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশে যার্ মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করেন তাদের জানাচ্ছি, সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য কোন স্বাস্থ্য সনদের প্রয়োজন নেই। সৌদি অ্যাম্বাসি জানিয়েছে, যারা সৌদি আরবে যাবে তারা যেন সরাসরি ফ্লাইটে যায়। ট্রান্সজিট আছে এমন ফ্লাইটে না যায়।
মধ্যপ্রাচের অন্যান্য দেশ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসার মেয়াদ বাড়াবে। তাই আমাদের যেসব শ্রমিক মধ্যপ্রাচে্য কাজ করে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বয়স্ক বা দীঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগবেন তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিদেশ ফেরতদের ১৪দিন ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।