নেত্রকোনায় আবারও ট্রলার ডুবি, ১০ জনের মৃত্যু
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের রাজনগর এলাকার গুমাই নদীতে দু'টি ইঞ্জিনচালিত নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের মধ্যনগর এলাকা থেকে একটি যাত্রীবাহী ইঞ্জিন নৌকা (ট্রলার) নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় কলমাকান্দার বড়খাপন ইউনিয়নের রাজনগর এলাকার গুমাই নদীতে বিপরীতগামী একটি বাল্কহেডের (পণ্যবাহী বড় নৌকা) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১০ জন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কেউ নিখোঁজ রয়েছে কি না তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাদিছুজ্জামান তালুকদার বলেছেন, কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী জানান, ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩০ জনের বেশী যাত্রী ছিল।
যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কামাউড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে অনিক (৭), একই গ্রামের হাবিকুলের স্ত্রী লাকি আক্তার (৩০), তার ছেলে জাহিদ (৩), মেয়ে টুম্পা আক্তার (১৫), ইনাফনগর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের স্ত্রী লুৎফুন্নাহার (৩৫), তাদের ছেলে ইয়াসিন (২), ছমেদ আলীর স্ত্রী মজিদা আক্তার (৫০), জামালগঞ্জ উপজেলা সদরের জোবায়ের হোসেনের ছেলে মোজাহিদ (৪), আব্দুল করিমের স্ত্রী সুলতানা (৪৫), ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার মেদনী গ্রামের আবু চানের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৩৫)।
এদিকে কামাউড়া গ্রামের মনিরা, রতন মিয়া, ফাতেমা ও মোফাজ্জলসহ আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। পুলিশ, দমকল বাহিনী ও স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট নেত্রকোনার মদন উপজেলার উচিতপুর হাওরে যাত্রীবাহী ইঞ্জিন নৌকা ডুবে ১৮ জন মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রের প্রাণহানি ঘটে।