পাটুরিয়া ঘাটে গাড়ির অপেক্ষায় ফেরি
গেল কয়েকদিনের টানা চাপের পর এখন ফাঁকা পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা। নেই ঘরমুখো ব্যস্ততা। কমেছে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপও। যে কারণে যাত্রী ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির সঙ্গে নৌরুট পারাপার হচ্ছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক।
গাড়ির অপেক্ষায় ফেরিগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে পন্টুনে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নেই যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ। অনায়াসে বাড়ি যাচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীরা। মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার প্রায় ৩৫ কিলোমিটার অংশে নেই কোন যানজট বা ভোগান্তি।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ঢাকা আরিচা মহাসড়কে নেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। যে কারণে ঘাট পন্টুন এলাকায় যাত্রী ও গাড়ির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে ফেরিগুলো। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুনসান হয়ে আসছে ব্যস্ততম পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়।
মহাসড়কের নয়াডিঙ্গী এলাকায় আলাপ হলে ঘাটমুখী যাত্রীবাহী বাসের চালক জাহিদ মিয়া বলেন, সকাল থেকে ঘাটমুখী যাত্রীর তেমন কোন চাপ নেই। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অল্প কিছু বেশি ভাড়ায় যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
তবে বাস ভর্তি করার জন্য নবীনগরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মহাসড়ক এলাকায়ও কোন যানজট নেই। সবশেষ কোন ভোগান্তি ছাড়াই গাড়ি চালানো যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ফেরিঘাটের দায়িত্বরত ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৭টি ফেরি রয়েছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ না থাকায় বেশ কিছু ফেরি অলস বসে আছে। একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
একই অবস্থা আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের। সেখানে ছোট বড় মিলে চলছে চারটি ফেরি। গেলো কয়েকদিন যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও এখন ফেরিঘাট এলাকা ফাঁকা। বেশ আয়েসের সঙ্গেই বাড়ি যাচ্ছে শেষ মুহুর্তে ঘাট এলাকায় আগত যাত্রীরা।
এদিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ একটু বেশি রয়েছে। তবে তা একেবারেই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার অংশে কোন যানজট বা ভোগান্তি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।