পাবনায় আ.লীগ নেতাসহ উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাবনা সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলের অফিস সহকারী লিয়াকত আলীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ আর দুইজন।
আজ বুধবার (২৪ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা এলাকায় পৃথক সময়ে তারা মারা যান।
সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তালেবুর রহমান জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন স্কুলের অফিস সহকারী লিয়াকত আলী (৫৯)। বুধবার ভোরে তিনি মারা গেছেন। লিয়াকত আলী পৌর এলাকার নয়নামতি এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
একই হাসপাতালে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন পাবনা শহরের শালগাড়ীয়া এলাকার আলতাফ হোসেন (৬২)। বুধবার ভোর রাতে তিনিও মারা যান। আলতাফ হোসেন শালগাড়ীয়া এলাকার মৃত মনজুর হোসেনের ছেলে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা গেছেন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আলতাফ হোসেনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা পরীক্ষার ফল এলেই বলা যাবে। তবে তাদের মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমাইল হোসেন (৬০)। ইউনিয়নের জোয়ারদহ গ্রামের নিজ বাড়িতেই মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি।
এদিকে, লাগামহীন গতিতে বাড়ছে পাবনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় নতুন করে আরো ৫৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯৩ জনে।