বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত: রামপুরা ব্রিজ অবরোধ করে বিক্ষোভ
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে রামপুরা ব্রিজ অবরোধ করেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ প্রতিবাদ কর্মসূচী শুরু হয়।
সোমবার রাতে দুর্জয়কে অনাবিল পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়।
গতকাল (২৯ নভেম্বর) ছিল দুর্জয়ের জন্মদিন। জন্মদিনেই তিনি বাসের চাপায় নিহত হলেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিহত শিক্ষার্থী হত্যার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে।
ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী সুমন দাস টিবিএসকে বলেন, "আমরা চাই সহপাঠী মাইনুদ্দিন হত্যার বিচার, সকলের জন্য নিরাপদ সড়ক এবং সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফপাসের আইন।"
বিএএফ শাহিন কলেজের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আসলাম বলেন, "এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষে আমাদের সহপাঠী হত্যার বিচারের কোন উদ্যোগ দেখিনি। কেউ এসে আমাদের সাথে আশ্বাস পর্যন্ত দেননি, আমরা এই হত্যার সঠিক বিচার না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাবো।"
সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন টিবিএসকে বলেন, "শুধু রাজধানী ঢাকাতে হাফ পাস মেনে নিলে হবে না, আমাদের দাবি স্পষ্ট, তা হলো সারাদেশেই শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাসের সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।"
ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, একরামুন্নেছা বিদ্যালয়, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিএএফ শাহিন কলেজ সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অবরোধে অংশ নিয়েছে।
এদিকে পুলিশ নিহত শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসটি জব্দ করেছে। এর চালক মো. সোহেল এবং সহকারী চান মিয়াকেও আটক করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই গতকাল রামপুরা এলাকায় ৭টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
চালক সোহেলকেও মারধর করে উত্তেজিত জনতা। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাকের ধাক্কায় নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার এক সপ্তাহও পার হয়নি। তার আগেই সড়কে প্রাণ গেল আরেক শিক্ষার্থীর।
গতকাল নিহত মাইনুদ্দিন রামপুরার একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তার বাবা রামপুরা বাজারে চায়ের দোকানি। মাইনুদ্দিনও প্রায়ই দোকানে বাবাকে সহযোগিতা করত।
সোমবার রাস্তা পারাপারের সময় বাস চাপায় নিহত হয় সে।