বোনের সঙ্গে প্রেম করায় টাঙ্গাইলে এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আরেক তরুণ
বোনের সঙ্গে প্রেম করায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টাঙ্গাইলের এক কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আরেক তরুণ।
হত্যার পর ওই কলেজছাত্রের লাশ টাঙ্গাইলের লৌহজং নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে উঠে এসেছে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে।
ঘটনাটি টাঙ্গাইল শহরের কাগমারা এলাকার। ওই এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকায় পুলিশে কর্মরত রাশেদুল ইসলামের ছেলে আশিক (১৮) গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নিখোঁজ হন। পরে গত ৫ মে সন্ধ্যায় লৌহজং নদী থেকে তার ভেসে ওঠা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মে আশিকের লাশ দাফনের পর তার মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই মামলায় হত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা ও ঢাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মাহিম, তার মা ও বোনকে আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুপম কুমার দাশ অভিযুক্ত মাহিমের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে সন্ধ্যায় তাকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে মাহিম জানায়, বোনের সঙ্গে প্রেম করার কারণে মাহিম নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে কলেজছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন আশিককে। পরে তার লাশ বাড়ির পাশে লৌহজং নদীতে কুচুরিপানার নিচে ফেলে দেয়।
নিহত আশিকের পারিবারিক সূত্র জানায়, কয়েকমাস আগে তাদের প্রতিবেশী মাহিমের বোনের সঙ্গে আশিকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আশিক তার প্রেমিকাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়। এটা জানতে পেরে প্রেমিকার ভাই মাহিম ক্ষুদ্ধ হয়। নিখোঁজের দিন মোবাইল ফোনটি ফেরত নেওয়ার জন্য মাহিম তাদের বাড়িতে আশিককে ডেকে পাঠায়। ওইদিন ফোন ফেরত আনতে গিয়েই আশিক নিখোঁজ হন। পরে গত ৫ মে সন্ধ্যায় লৌহজং নদী থেকে মামুনের লাশ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশিককে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা মাহিম স্বীকার করেছে। পরে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে তিনি জবানবন্দি দেন।