ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনসমাগম ঠেকাতে ব্যর্থ প্রশাসন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরাইলে খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় জনসমাগম ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনাভাইরাস নিয়ে রোববার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে সরকার। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলকে চলাচলের আহ্বানও জানানো হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সেই আহ্বান শুনছেন না সাধারণ মানুষ। এজন্য কিছুক্ষেত্রে কঠোরও হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এরমধ্যেও গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক জানাজায় জড়ো হয় লাখো মানুষ।
তিনি আরও বলেন, জানাজায় লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। জানাজায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা অনেকেই বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে এখনই প্রশাসনের নজরদারি জরুরি।
গত ১১ এপ্রিল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর থেকেই সামাজিক দূরত্ব ও সাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু শনিবার লকডাউন ভেঙে জুবায়ের আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এছাড়াও গত ১৬ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় পুরো দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় রোববার সরাইলের সার্কেল এএসপি মাসুদ রানা, ওসি সাহাদাত হোসেন টিটু এবং পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।