মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের সম্মেলন মে-জুনে
মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে থাকা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের সম্মেলন আগামী মে-জুন মাসের করার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথ সভায় এ এ নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, "যাদের সম্মেলন হয়েছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, তাদের প্রতি অনুরোধ দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেবেন। করোনা ভাইরাসের কারণে কমিটি গঠন থেমে থাকতে পারে না। খুব দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে দেবেন। এটা নেত্রীর নির্দেশ।"
মুজিববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী কর্মসূচির পুনর্বিন্যাস ও সমসাময়িক ইস্যুতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় সংসদ সদস্য ও দুই সিটি মেয়রদের সঙ্গে নিয়ে আয়োজিত যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী মহিলা লীগ এবং যুব মহিলা লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ মার্চেই শেষ হবে। সেকারণে এই দুটি সংগঠনের সম্মেলন মে-জুন মাসে করার প্রস্তুতি চলতি মাস থেকেই নেওয়ার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, "যেসব কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে তারা মার্চ-এপ্রিলের পর ঘরোয়াভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন। আমরা মে-জুন মাসে সম্মেলনগুলো করার চিন্তা-ভাবনা করছি।"
'করোনা পরিস্থিতিতে অহেতুক নোংরা রাজনীতি করবেন না'
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে 'অহেতুক নোংরা রাজনীতি' না করে সরকারকে সহযোগিতা করতে বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় তিনি বলেন, "করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে অহেতুক নোংরা রাজনীতি করবেন না। মানবিক ও সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। এই পরিস্থিতিতে আপনাদের উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।"
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "১৫ই আগস্ট ও ২১শে আগস্টের মতো ঘটনার কারণে রাজনীতিতে কর্মসম্পর্ক বিএনপিই নষ্ট করেছে। তারপরও করোনা ভাইরাস ইস্যুতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই বিএনপিকে বলবো এই সময়ে রাজনৈতিক বিষেদাগার থেকে বিরত থাকুন।"
তিনি বলেন, "সারাবিশ্বই করোনাভাইরাস নিয়ে একটা উদ্বেগ ও আতঙ্কে আছে। বাংলাদেশে যারা বলছেন, সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল না। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যে দেশ সবার আগে নিয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শুরু করে যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব জায়গাতেই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।"
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুতির ব্যাপারে সরকারের কোন ঘাটতি আমাদের ছিল না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, "ইতালি থেকে যে দুইজন প্রবাসী বাংলাদেশী এসেছে, তারা কিন্তু প্রস্তুতি আছে বলেই তাদের সংক্রমণের ব্যাপারটা ধরা পড়েছে এবং তাদের ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের দুজন থেকে আরেকজন সংক্রামণ হয়েছে, সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন কেউ সংক্রামণ হয়নি।"