মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা আরও ১ জন বাড়লো। এই নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতেলে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নিহাদ (৮) ।
এই দুর্ঘটনায় এ নিয়ে সাত শিশু নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলো- নিহাদ (৮), রমজান (৮), ব্যবসায়ী নূর আলমের মেয়ে নূপুর (৭), শাহজাহানের ছেলে শাহীন (৯), রিকশাচালক আবু তাহেরের মেয়ে ফারজানা (৬), মিলনের মেয়ে রিয়া (১০) এবং রিকশাচালক নূর আলমের ছেলে রুবেল (১০)।
তারা সবাই কামরুল মাতবরের বস্তির বাসিন্দা।
রূপনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে এক বিক্রেতা বেলুনে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই পাঁচ শিশু নিহত হয়।”
মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
আরেকজনের লাশ কাছের একটি বস্তি থেকে উদ্ধার করা হয়, বলেন তিনি।
রূপনগর থানার এসআই জানান, জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়ার মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং বাকিদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ঢামেকে নেয়া আহতরা হলো- মিম (৮), সিয়াম (১১), মুস্তাকিম (৮), আজুফা (৭), তানিয়া (৭), জমিলা (৮), সোহেল (২৫), জুয়েল (২৯), জান্নাত (২৫), নেহা (৮), অর্ণব (১০), জনি (৯), মুর্সালিনা (১০) এবং রাকিব (৫)।
ঢামেকের জরুরি ওয়ার্ডের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন জানান, আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশংকাজনক।
জোবায়ের (৮), সাদেকুর (১০), নাহিদ (৭), জামিল (১৪), মরিয়ম (৯) এবং ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত একজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ঘটনার সময় ওই এলাকায় উপস্থিত থাকা গাড়ি চালক মো. মোস্তফা জানান, বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তিনি বস্তিতে ছুটে যান। সেখানে লোকজনকে কান্না করতে দেখেন।
“যখন আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছলাম তখন দেখলাম চারটি শিশুর দেহ মারাত্মক আহত অবস্থায় নিথর হয়ে পড়ে আছে”, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বেলুন বিক্রেতারা ওই অঞ্চলের বাচ্চাদের কাছে পরিত্যক্ত ধাতুর বিনিময়ে বেলুন বিক্রি করতেন এবং গ্যাস সিলিন্ডারের সাহায্যে সেগুলো ফোলাতেন।’
মোস্তফা বলেন, সিলিন্ডারের আশপাশে থাকা ২০-২৫ জন বিস্ফোরণের কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হন।