যশোর বিমানবন্দর থেকে ফের বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ
যশোর বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কার্গো ও রোগী বহনকারী হেলিকপ্টার ছাড়া প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের একমাত্র এই বিমানবন্দরটি আগের মতো চালু করতে দরকারি সরঞ্জামসহ মেডিকেল টিম চাওয়া হয়েছে।
দ্রুত এই বিমানবন্দরে একটি মেডিকেল টিম নিয়োজিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ।
যশোর বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, 'সাধারণ ছুটি' শেষে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে উড়োজাহাজ চলাচল করছে। অবশ্য আগে থেকেই রাজধানীর হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সীমিত আকারে চালু ছিল। চালু হওয়া অন্য তিনটি এয়ারপোর্টের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেটে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট চলে। সেখানে আগে থেকেই মেডিকেল টিম কাজ করে। আর লকডাউনের ঠিক আগ দিয়ে সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ মেডিকেল টিম পায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে এখনো বন্ধ রয়েছে যশোর, রাজশাহী, কক্সবাজার ও বরিশাল। উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে কোনো সন্দেহভাজন করোনা রোগী রয়েছেন কি-না তা যাচাই করার সুযোগ না থাকায় এই বিমানবন্দরগুলো এখনো চালু হয়নি।
যশোর এয়ারপোর্টটি সাময়িক বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে প্রতিদিন সরকারি-বেসরকারি মিলে ১২টি ফ্লাইট চলতো। এর মধ্যে ইউএস-বাংলার ছয়টি, নভোএয়ারের পাঁচটি এবং বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে আসা-যাওয়া করতো। দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর গেল ২৫ মার্চ দেশের সব এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৪ মার্চ সর্বশেষ যশোর এয়ারপোর্টে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলেছে।
যশোরের বিমানবন্দর ম্যানেজার মাসুদুল হক বলেন, এই বিমানবন্দরে যে মেডিকেল টিম লাগবে, তা প্রায় দুই মাস আগে আমাদের হেড কোয়ার্টার থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাড়া মেলেনি।
'শনিবার আমি হেড কোয়ার্টারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। যোগাযোগ করেছিলাম যশোরের সিভিল সার্জনের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, এয়ারপোর্টে মেডিকেল টিম দেওয়ার কোনো নির্দেশনা তার ঊর্ধ্বতন মহল এখনো দেননি' যোগ করেন তিনি।
যশোর বিমানবন্দরে এখন শুধু কার্গো ও রোগী বহনকারী হেলিকপ্টার চলছে। মেডিকেল টিম নিযুক্ত করা হলে এই এয়ারপোর্ট থেকে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। মেডিকেল টিমের ব্যবহারের জন্য কক্ষ বরাদ্দও করার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, এয়ারপোর্টে মেডিকেল টিম নিযুক্ত করতে আমি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান জানান, যশোর বিমানবন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্য সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত চালু করা প্রয়োজন।