যেখানে কিট জমা দিতে বলবে, সেখানেই দেবো, কিন্তু তৃতীয় কোনো মাধ্যমে নয়: জাফরুল্লাহ চৌধুরী
'ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যেখানে কিট দিতে বলবে, সেখানেই জমা দেবো; কিন্তু তাদের নিজস্ব ল্যাবরেটরি ও দক্ষ লোকজন থাকতে হবে। আমরা কোনো কনসাল্টিং ফার্মের কাছে যেতে রাজি না। তৃতীয় কোনো বিজনেস অরগানাইজেশনের মাধ্যমে কিট জমা দিয়ে এর দাম বাড়াতে চাই না।'- রোববার সন্ধ্যায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এসব কথা বলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, সবচেয়ে ভালো হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করা। তারা পরীক্ষা করতে রাজিও আছে। এছাড়া ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বিএমআরসিকে বলতে পারে পরীক্ষা করে দিতে। যেখানে বলবে সেখানে গিয়ে কিট জমা দেবো। কিন্তু আজগুবি কোনো ফি দিতে রাজি নই। ন্যায্য ফি যেখানে দিতে বলবে, সেখানেই দেবো আমরা।
কিট কার্যকর- এ দাবিটি এখনই করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি এটি কার্যকর। আমরা ফলাফল দেখেই বলছি। অনেকেই এ কিট তৈরির চেষ্টা করেছে। ইন্ডিয়াতে এ কিট তৈরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা ভালো ফল পায়নি। আমরা যত্ন করে কাজ করেছি, ভালো ফল পেয়েছি। আমরা যে কার্যকর বলছি, সেটা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর পরীক্ষা করে দেখুক। আমার দাবিটা ঠিক আছে কি না, তা জানতে তো পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাকে আজ রোববার সকালে ফোন করেছিলেন। ওখানে এ ধরনের কিট দিনে দশ লাখ ব্যবহার করা হয়।
এর আগে বিকেল চারটায় এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন এটি জমা দিতে যান। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর তা গ্রহণ করেনি। এমনকি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনজনের একজনকে ওষুধ প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রবেশও করতে দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা গিয়েছিলাম, তারা জমা নেননি। বললেন যে, সিআরও নিয়ে আসেন। তারপরে বললেন, এটা আপনারা ভেরিফিকেশন করে আনেন সিআরও থেকে। সিআরও হলো চুক্তিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ওখানে পয়সা দিতে হবে। কত খরচ লাগবে, তা ওনারা (সিআরও) বাজেট দেবেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, কিভাবে তারা ব্যবসায়িক স্বার্থকে রক্ষা করছেন। তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে রেখে চলেন, তাতে তাদের লেনদেনে সুবিধা হয়। গত ৪৮ বছরে গণস্বাস্থ্য কাউকে ঘুষ দেয়নি; দেবে না। প্রোডাক্ট বাজারে আসুক চাই না আসুক, আমরা ঘুষ দেইনি, দেবো না। লড়াই করে যাব।