রাঙামাটিতে উপজেলা পরিষদ অফিসে ঢুকে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে অবস্থিত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার রুমে এসে গুলি করে এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত ব্যক্তির নাম সমর বিজয় চাকমা (৩৮)। তিনি উপজেলার রূপকারি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য।
বুধবার দুপুর একটায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা)'র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরনবী সরকার জানিয়েছেন, ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমা আমার সঙ্গে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলছিলেন। এসময় দুইতিনজন ব্যক্তি দরজার বাইরে উঁকি দিচ্ছিলো এবং একজন রুমে প্রবেশ করে সমর বিজয়ের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় অবস্থিত, এই কার্যালয়ের তিনটি রুম পাশেই একটি কক্ষে অফিস করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতেই ইউপি সদস্য কার্যালয়ে এসেছিলেন, কিন্তু দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে তাকে অফিসেই গুলি করে হত্যা করে চলে যায়।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) এর কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা নিহত সমর বিজয় চাকমাকে তাদের সহযোগি সংগঠন যুব সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দাবি করে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির 'সশস্ত্র ক্যাডারদের' দায়ী করেছেন। তিনি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিও জানিয়েছেন।
তবে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সন্তু লারমা'র সমর্থক জনসংহতি সমিতির একাধিক নেতার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি এবং ইউপি সদস্যকে গুলিবিদ্ধ ও মৃত অবসস্থায় চেয়ারেই পড়ে থাকতে দেখি।