রাজধানীতে জুয়া, ক্যাসিনো চলতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার
রাজধানীতে অবৈধ জুয়ার আড্ডা, ক্যাসিনোর পরিচালনার ক্ষেত্রে যতো প্রভাবশালীই জড়িত থাকুক না কেন, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম।
‘ক্যাসিনো’ চালানোর অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ ভূঁইয়াকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের একদিন পর বৃহস্পতিবার ডিএমপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “রাজধানীতে অবৈধ জুয়ার আড্ডা, ক্যাসিনো চলতে দেওয়া হবে না। এসব জুয়ার বোর্ড, ক্যাসিনো পরিচালনা ক্ষেত্রে যতো প্রভাবশালীরাই জড়িত থাকুক না কেন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর হবে। র্যাব অভিযান শুরু করেছে পুলিশও করবে। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জুয়ার বোর্ড ও ক্যাসিনোর তালিকা করা শুরু হয়েছে।”
বুধবার সন্ধ্যায় ফকিরাপুলের ইয়াং মেনস ক্লাবে র্যাব অভিযান চালিয়ে ক্লাব থেকে ১৪২ জনকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। সেখান থেকে নগদ ২৪ লাখ টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আমি এই সপ্তাহেই কমিশনার হিসেবে কাজ শুরু করেছি। এই বিষয়টি যারা দেখেন তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি, কোথায় কি হচ্ছে, কারা পরিচালনা করছে তা তালিকা করে জানাতে। তারা কাজ করছেন। ইতোমধ্যে একটি জোনের তালিকা আমি পেয়েছি। অন্য জোনের তালিকাও করা হচ্ছে। র্যাব যেমন অভিযান শুরু করেছে তেমনি পুলিশের ভূমিকাও একই রকম। স্পষ্ট করে বলছি, রাজধানীর কোথাও জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনো চলতে দেওয়া হবে না।”
বুধবারের অভিযানে দেখা যায় জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনোর সাথে চলছে মাদকের ব্যবসাও। অভিযানের শুরুতেই ফকিরাপুলের ওই ক্যাসিনোতে মাদক সেবনরত অবস্থায় অনেককে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “ক্যাসিনোতে যারা জুয়া খেলতে আসে তারাই মাদক সেবন করছে। ক্যাসিনো যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেখানে মাদক সেবনও বন্ধ হবে। ক্যাসিনো বন্ধ করার পরেও যদি কেউ মাদকের কারবার চালানোর চেষ্টা করে তবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
রাজধানীতে বিভিন্ন হোটেলে ডিজে পার্টিতে মাদক সেবনের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের আনাগোনাই থাকে, এমন একটি তথ্য সাংবাদিকরা ডিএমপি কমিশনারকে জানালে উত্তরে তিনি বলেন, “নির্মল বিনোদন হলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু সেখানে বিনোদনের নামে যদি অশালীন ও অবৈধ কিছু চলে, মাদক সেবন হয় তাহলে সেখানেও একই রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নজরদারিতে থাকবে।”
তিনি বলেন, “আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর। যে পর্যায়েই হোক না কেন। জোনাল ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছি এধরণের ঘটনা মোটেও সহ্য করবো না। এরপরেও যদি কেউ জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনো পরিচালনা করে, জড়িত থাকে বলে জানতে পারি তাহলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”