রাজশাহীতে শিক্ষার্থী রাজু হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাজশাহীর নিউ মার্কেট এলাকায় ১১ বছর আগে এক শিক্ষার্থী রাজু হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি এ রায় দেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর এ হত্যা মামলার রায় হলো। দ্রুত বিচার ট্র্যাইবুনালের বিচারক অনুপ কুমার সাহা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মাহাবুর রশিদ ওরফে রেন্টু, ইসমাইল হোসেন, মোঃ রিংকু ওরফে বয়া, সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাজু ও আজিজুর রহমান ওরফে রাজন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায়ে ১৪ জন আসামীর মধ্যে হত্যাকাণ্ডে পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগপ্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আসামীদের স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, সুরতহাল রিপোর্ট ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণে এই পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এন্তাজুল হক বাবু জানান, রাজশাহীর বাগমারার মাদারীগঞ্জের আজিজ মাস্টারের ছেলে মুক্তার সঙ্গে এশার উদ্দিনের ছেলে রাজুর গভীর সখ্যতা ছিলো। এই সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে মাদারীগঞ্জের মাহাবুর রশিদ রেন্টু রাজুকে তার সঙ্গে মিশতে নিষেধ করে দেয়। তার কথা না শোনায় মাদারীগঞ্জ বাজারে রাজুদের স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে গিয়ে রেন্টুর লোকের ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা রাজুকে মারধোর করে দোকানে ভাঙচুর চালায় ।
পরবর্তী সময়ে রাজু আদালতে মামলা করলে সেই মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে রাজু হুমকির ভয়ে মাদারীগঞ্জ ছেড়ে রাজশাহী নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় বসবাস করতে শুরু করে। সেই এলাকায় রাজুকে খুঁজে বের করে রেন্টু নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার ভাড়াটে লোক দিয়ে ২০১০ সালের ১৫ মার্চ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।