রিফাত হত্যাকাণ্ড : মালামাল ক্রোকের ভয়ে চার আসামির আত্মসমর্পণ
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক চার অভিযুক্ত আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
এ চার অভিযুক্ত হলেন, প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের নিয়ে গঠিত অভিযোগপত্রের তিন নম্বর অভিযুক্ত মোহাইমিনুল ইসলাম রিফাত (১৯), অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের নিয়ে গঠিত অভিযোগপত্রের দুই নম্বর অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫), তিন নম্বর অভিযুক্ত আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬) এবং ১২ নম্বর অভিযুক্ত প্রিন্স মোল্লা (১৫)।
পরে প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্ত মোহাইমিনুল ইসলাম রিফাতের (১৯) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী। আত্মসমর্পণ করা অপর তিন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের জামিন আবেদন শিশু আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন তিনি।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এ মামলার পলাতক আট অভিযুক্তের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন। এ মামলার চার অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছেন।
এরা হলেন, প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের নিয়ে গঠিত অভিযোগপত্রের ছয় নম্বর অভিযুক্ত মোঃ মুসা (২২), অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় নম্বর অভিযুক্ত মোঃ নাইম (১৭), নয় নম্বর অভিযুক্ত মোঃ রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫) এবং ১০ নম্বর আসামি মোঃ সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিব্বুলাহ (১৭)।
আগামী ১৬ অক্টোবর এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক তরুণকে।
এ সময় বরগুনা সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তাঁর স্বামীকে রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালান। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাঁকে (রিফাত) উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
বেলা তিনটার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। জনবহুল এলাকায় এমন নৃশংস হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের ঝড় ওঠে।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় এপর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ মামলার প্রধান আসামী সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।