রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেল
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৫ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪৭১ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮১ হাজার ৫২৩ জনে।
শুক্রবার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
মৃতদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ১১, সিলেটে ৩, রাজশাহীতে ২, বরিশালে ৩, খুলনায় ১, ময়মনসিংহে ২ এবং রংপুর বিভাগে ৫ জন মারা গেছেন।
মৃত ৪৬ জনের বয়স:
- ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী: ১ জন।
- ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী: ৬ জন।
- ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী: ৩ জন।
- ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী: ১২ জন।
- ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী: ১৫ জন।
- ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী: ৭ জন।
- ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী: ১ জন
- ১০০ বছরের বেশি বয়সী: ১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৬ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে; পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯০টি। আজ দেশের ৫৯টি পরীক্ষাগারে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫০২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১৭ হাজার ২৪৯ জন সেরে উঠলেন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।
এক নজরে বাংলাদেশের করোনাচিত্র:
মোট আক্রান্ত: ৮১ হাজার ৫২৩ জন।
মারা গেছেন: ১ হাজার ৯৫ জন।
মোট সুস্থ: ১৭ হাজার ২৪৯ জন।
মোট নমুনা পরীক্ষা: ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২২টি
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য সরকার ইতোমধ্যেই একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু করেছে।
এদিকে, করোনার পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রাণ গেছে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৮৪ জনের।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যেসব দেশে:
যুক্তরাষ্ট্র: ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৫ জন।
যুক্তরাজ্য: ৪১ হাজার ২৭৯ জন।
ব্রাজিল: ৪১ হাজার ৫৮ জন।
ইতালি: ৩৪ হাজার ১৬৭ জন।
ফ্রান্স: ২৯ হাজার ৩৪৬ জন।
স্পেন: ২৭ হাজার ১৩৬ জন।
মেক্সিকো: ১৫ হাজার ৯৪৪ জন।
বেলজিয়াম: ৯ হাজার ৬৩৬ জন।
জার্মানি: ৮ হাজার ৮৫১ জন।
ইরান: ৮ হাজার ৫৮৪ জন।