রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসন শুরু হবে আগামী মাসে
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলো থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পুনর্বাসন শুরু হবে আগামী মাস থেকে।
এক লক্ষ লোকের বসবাসের জন্য বানানো ভাসানচরের ওই ঘরগুলোতে কারা থাকবেন সে তালিকা প্রস্তুতের কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি কিছু রোহিঙ্গা পরিবার ভাসানচরে যাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আমরা তাদের জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করবো।”
“তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে পারলে, আগামী মাসে আমরা একটা তারিখ ঠিক করবো এবং তাদেরকে সেখানে পাঠাবো। এর আগে আমরা সবকিছু প্রস্তুত করে রাখবো।”
কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলো থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সাময়িকভাবে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানোর পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দ্বীপটিতে ঘরবাড়ি এবং আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে।
যে সব পরিবার ভাসানচরে যেতে চায় তাদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জরিপ চালানো হয়। এরমধ্যে যেতে আগ্রহী, এমন অনেক পরিবারকেই খুঁজে পেয়েছে প্রশাসন।
টেকনাফের একটি ক্যাম্পের সূত্র বলছে, ক্যাম্পটি থেকে ভাসানচরে যেতে ইতোমধ্যেই ১৭টি পরিবার রাজি হয়েছে। আরও কয়েকটি পরিবার পুনর্বাসনের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
ভাসানচর বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপ। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সেখানে এক লক্ষ লোকের বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করেছে।