রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও ৩ রোহিঙ্গার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরও তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
কক্সবাজার আদালত পুলিশের পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় টেকনাফ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ'র আদালত এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলো, উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া ১-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-১৫ ব্লকের বাসিন্দা জাকির আহমদের ছেলে আব্দুস সালাম (৩২), কুতুপালং ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৫৪ ব্লকের বাসিন্দা মৃত মকবুল আহমদের জিয়াউর রহমান (৩০) এবং কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রজক আলীর ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩৫)।
এর আগে গত রোববার গ্রেপ্তার আসামি মো. সলিম (৩৩) ও শওকত উল্লাহ'র (২৩) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তিন আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে প্রিজেন ভ্যান যোগে আদালতে আনা হয়। পরে ১১ টায় আসামিদের বিচারকের এজলাসে হাজির করা হয়।
গত শুক্রবার সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থেকে মো. সলিমকে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) এবং মধুরছড়া ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লক থেকে শওকত উল্লাহকে উখিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গত শনিবার ভোররাতে লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-১৫ ব্লক থেকে আব্দুস সালাম (৩২) কে, ৮-ডব্লিউ কুতুপালং ক্যাম্প থেকে জিয়াউর রহমান (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া গত রোববার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মো. ইলিয়াস (৩৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিদর্শক চন্দন বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত রোববার রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আব্দুস সালাম ও জিয়াউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত আসামিদের রিমান্ড শুনানীর জন্য বুধবার দিন ধার্য করে আদেশ দেন। এছাড়া গত সোমবার গ্রেপ্তার অপর আসামি মো. ইলিয়াসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। এতে আদালত শুনানীর জন্য বুধবার দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
বুধবার সকালে রিমান্ড শুনানীর নির্ধারিত দিনে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এতে বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের প্রত্যেক আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এ নিয়ে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোনো আসামিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়নি।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পার হলেও কোনো সঠিক ক্লু ও হত্যাকারীকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে, সন্দেহজনক পাঁচ জনকে আটক করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।