লোকসমাগম ছাড়াই দাফন সম্পন্ন; বরিশাল নগরে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার
বরিশাল নগরী থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র শওকত হোসেন হিরণের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুণ অর রশিদ (৬৭) সোমবার রাতে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর নুরিয়া স্কুল মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত এবং এরপর মুসলিম গোরস্থানে দাফন করার কথা ছিল। এমন অবস্থায় তার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানে লকডাউন ভেঙ্গে লোকসমাগম ঘটতে পারে- এমন আশঙ্কায় দুপুর ৩ টা থেকে নগরীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি লোকসমাগম ঠেকাতে শওকত হোসেন হিরণের বাড়ি ও নুরিয়া স্কুল এবং মুসলিম গোরস্থান সহ আশপাশ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
এছাড়া নগরীতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে দায়িত্ব পালনের জন্য চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিলেন।
প্রয়াতের স্বজনরা জানান, মো. হারুণ অর রশিদের মরদেহ ঢাকা থেকে বিকেল ৪ টার দিকে বরিশাল নগরীর আলেকান্দা নুরিয়া স্কুল সংলগ্ন তার বাড়িতে এসে পৌছে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে। পরে তাকে মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়।
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে জানাজা ও দাফনে পরিবারের লোকজন ছাড়া অন্য কাউকে অংশ না নিতে আগেই অনুরোধ করা হয়েছিল। সে কারণে মো. হারুণ অর রশিদের জানাজা ও দাফনে ২০ থেকে ২৫ জন পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও দুই একটি জায়গায় হাজারো মানুষ জানাজায় অংশ নেন। এমন পরিস্থিতি নগরীতে না ঘটে সে জন্য শওকত হোসেন হিরণের বাড়ি, নুরিয়া স্কুল এবং মুসলিম গোরস্থান সহ আশপাশ এলাকার পাচশ' গজের মধ্যে ৫ জনের অধিক লোক জড়ো হলে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে লোকসমাগম ছাড়া স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।