সংক্রমণ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে চালু হলো টোকেন সিস্টেম
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের সবেচেয়ে বড় শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে চালু হয়েছে টোকেন সিস্টেম।
এই প্রক্রিয়ায় কাস্টম হাউসে পণ্য চালানের শুল্কায়নের জন্য কাস্টমস কর্মকর্তাদের সামনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মীদের আগের মতো গাদাগাদি করতে হবে না। সিরিয়াল অনুাযায়ী বিভিন্ন গ্রুপভিত্তিক শুল্কায়ন শেষে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মীদের ফেরত দেওয়া হবে। রোববার থেকে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ২৫ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত এবং এর মধ্যে একজন রাজস্ব কর্মকর্তার মৃত্যুতে কাস্টম হাউসে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স ইউনিটের সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডাডর্কে বলেন, এই প্রক্রিয়ায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মীরা তাদের ডকুমেন্ট জমা দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করবেন। বিল অব এন্ট্রির ওপর একটি টোকেন থাকবে। সেখানে বিল অব এন্ট্রি নম্বর, তারিখ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের নাম ও ডকুমেন্ট উপস্থাপনকারী ব্যক্তির নাম এবং মোবাইল নম্বর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, একটি নির্দিষ্ট কাউন্টারে ওই টোকেনে সিরিয়াল নম্বর দিয়ে ডকুমেন্টগুলো রিসিভ করা হবে। এরপর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সেখানে থাকার প্রয়োজন হবে না। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের ডকুমেন্ট এসেসমেন্টে শেষে সিরিয়াল অনুযায়ী ডেলিভারি দেবে। কোনো প্রয়োজন হলে টোকেনে দেওয়া নম্বরে ফোন করে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিকে ডাকা হবে।
তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুল্কায়নের সময় কাস্টম কর্মকর্তাদের সামনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মীদের ভিড় এড়ানো যাবে।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, শুল্কায়ন করতে গিয়ে একজন কাস্টম কর্মকর্তার টেবিলের সামনে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মীদের ভিড় লেগেই থাকত। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ টোকেন সিস্টেম চালু করেছে।