সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ
দেশের ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ।
বৃহস্পতিবার সভাপতি মাহফুজ আনাম এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের শীর্ষ চার সংগঠনের ১১ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।'
'সম্পাদক পরিষদ মনে করে, প্রচলিত আইনে কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র একটি পেশার ১১ জন শীর্ষ নেতার ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসাব তলব উদ্দেশ্যমূলক, যা অতীতে কখনো কোনো সময়ে কোনো পেশার ক্ষেত্রেই ঘটেনি। এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার ওপর চাপ ও হুমকি বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।'
বলে রাখা ভালো, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৪ সংগঠনের ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে গত সপ্তাহে সরকারের একটি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে ১৩ সেপ্টেম্বর মধ্যে এই তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
তালিকায় থাকা সাংবাদিক নেতারা হলেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
এদিকে, এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং রিপোর্টারদের সংগঠন ডিআরইউ।